সাকিবের লড়াই অন্যদের উৎসাহ দেয় : সুজন


প্রকাশিত: ০৩:১৯ পিএম, ১৩ মার্চ ২০১৫

প্রথমবারের মতো সেমিফাইনালে যেতে মুখিয়ে আছে টাইগাররা। তারই প্রমাণ মিললো আজকের ম্যাচে নিউ জিল্যান্ডের সাথে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই দেখে। তবে কোয়র্টার ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করে টাইগাররা রয়েছেন ফুরফুরে মেজাজে। সেইসাথে দলকে নিয়ে আরো বড় সাফল্যের স্বপ্ন দেখছেন টিম ম্যানেজম্যান্টও। গ্রুপ লিগে ম্যাকালামদের বিরুদ্ধে শেষ ম্যাচের আগে হ্যামিল্টন থেকে কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকাকে দেওয়া ফোন সাক্ষাৎকারে তারই বার্তা দিলেন বাংলাদেশের প্রাক্তন অধিনায়ক এবং মাশরফির দলের ম্যানেজার খালেদ মামুদ সুজন। খানিকটা পরিমার্জিত করে জাগোনিউজের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো-

প্রশ্ন: বাংলাদেশের এ বারের পারফরম্যান্সে চার দিকে তো ধন্য ধন্য পড়ে গিয়েছে। কলকাতার মানুষও ভীষণ খুশি।
সুজন: হ্যাঁ তাই শুনছি। ঢাকায় তো আনন্দে অনেক মিছিল বেরিয়েছে। গোটা দেশ খুশি।

প্রশ্ন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অভিনন্দনসূচক কিছু পাঠিয়েছেন?
সুজন: উনি খুব খুশি। তবে আপা তো প্রত্যেক ম্যাচের পরই প্লেয়ারদের অনেকের সঙ্গে ব্যক্তিগত ভাবে কথা বলেন। ওদের উৎসাহ দেন।

প্রশ্ন: তাই? প্রতি ম্যাচের পরেই?
সুজন: হ্যাঁ, উনি ভীষণ ক্রিকেটভক্ত। মীরপুর স্টেডিয়ামে বড় ম্যাচ হলে তো দেখতেও যান। দেশ বিশ্বকাপ কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছনোয় উনি খুব খুশি।

প্রশ্ন: আর আপনাদের দেশের ক্রীড়ামন্ত্রী?
সুজন: বীরেন শিকদার। মেলবোর্নে কোয়ার্টার ফাইনাল দেখতে আসার সম্ভাবনা আছে তার।

প্রশ্ন: কোয়ার্টার ফাইনালে কার বিরুদ্ধে আপনারা পড়বেন সেটা নির্ভর করছে কাল কী হয়। ভারত হতে পারে। দক্ষিণ আফ্রিকা হতে পারে। আপনারা কাকে চাইছেন?
সুজন: ওই রকম কিছু নেই। এমসিজিতে যে পড়বে তার সঙ্গেই লড়ব।

প্রশ্ন: সত্যি কথা বলুন- আপনারা যে তিনটে ম্যাচ এখানে জিতেছেন, আগে ভেবেছিলেন এমন রোমাঞ্চকর কিছু ঘটতে পারে?
সুজন: একটা ধারণা ছিল যে এ বার ওরা ভাল খেলবে। ঢাকা ছাড়ার আগে কিন্তু ওরা বলেছিল যে, এ বার কোয়ার্টার ফাইনাল যাবই। তা ছাড়া আমার মনে হয় প্লেয়ারদের মধ্যেও এ বার একটা তাগিদ কাজ করছে যে আর কত দেরি করব নিজেদের প্রমাণ করতে? এ বার না হলে দেরি হয়ে যাবে। আজও তো ওরা বলে গেল কালকের (নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে) ম্যাচে লড়ব। এই স্পিরিটটা এ বার প্রথম থেকেই আছে।

প্রশ্ন: বাংলাদেশি সমর্থকরা উদাত্ত ভাবে খাবার-দাবার নিয়ে ঢুকে পড়ছেন না?
সুজন: সে তো আমাদের সমর্থকদের একটা আবেগ আছেই। আমাদের দেশের মানুষরা টিমকে খুব ভালবাসেন। সবাই ডেকে খাওয়াতে চান। কিন্তু এ বার তো জানেনই আইসিসি-র অনেক কড়াকড়ি রয়েছে। কাউকে সহজে প্লেয়ারদের কাছে ঘেঁষতে দেওয়া হচ্ছে না।

প্রশ্ন: মাশরফির অধিনায়কত্বের ভূমিকা কতটা?
সুজন: মাশরফি খুব ভাল ক্যাপ্টেন। গেম রিড করে ভাল। বল করছেও খুব ভাল।

প্রশ্ন: এই যে ছেলেরা এত উৎসাহ নিয়ে এ বার লড়ছে, মোটিভেশনের শেকড়টা কী?
সুজন: ওই তো বললাম, নিজেরাই বুঝেছে দেরি হয়ে যাচ্ছিল। এ বার না হলে আর নয়, এমন তাগিদ ছিল। প্লাস আমাদের টিমে সাকিব একটা ছেলে যাকে দেখে এরা ইন্সপায়ার্ড হয়। সাকিব সত্যি একটা রোলমডেল, বাংলাদেশে থেকে বিশ্বসেরাদের সঙ্গে লড়াই করার তার এই যে ক্ষমতা, এটা বাকিদের অবশ্যই উৎসাহ দেয়।

প্রশ্ন: বিদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে কে কে মনে রাখার মতো প্রশংসা করলেন?
সুজন: ইংল্যান্ডের নাসের হুসেন সে দিন ম্যাচের পর খুব প্রশংসা করছিলেন। ভারতের গ্রেট গাভাস্কার এক দিন বললেন। শেন বন্ডের সঙ্গে মাঠে দেখা হতেই কনগ্র্যাচুলেট করে সুখ্যাতি করল। হ্যাডলি শুনলাম আপনাদের কাগজে রুবেলের খুব প্রশংসা করেছেন। কিন্তু উনি বোধহয় নামটা জানতেন না। তাই নামটা বলতে পারেননি।

প্রশ্ন: ঠিক। রুবেলের তো উচিত এ বার এই সব বড় ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা বলা। টিপস নেওয়া।
সুজন: সত্যিই উচিত। ও আসলে খুব মেধাবী আর লাজুক একটা ছেলে। কিন্তু বোলিংটা দারুণ করছে। আরও দেখবেন। ওর পারফরম্যান্স দেখানো বাকি রয়েছে। নিউ জিল্যান্ডকে আমাদের দেশের উইকেটে ওই ঝামেলায় ফেলে দিয়েছিল।

প্রশ্ন: আপনি এখন এত কিছু বলছেন। সে দিন যখন তামিমের হাতের ক্যাচটা পড়ল, ভয় পাননি যে হেরে যাবেন?
সুজন: সত্যি কথা, পেয়েছিলাম। প্রায় কপাল চাপড়াচ্ছিলাম যে হায় আল্লাহ্, তামিম এত ভাল ফিল্ডার ওর হাত দিয়ে এই ক্যাচটা পড়ল!

প্রশ্ন: এখন?
সুজন: এখন ইনশাল্লাহ্ যে-ই সামনে পড়ুক আমরা ভয় পাই না।

এলএ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।