বাংলাদেশে বিধ্বস্তের কারণ দর্শাতে হিমশিম খাচ্ছে পাকিস্তান


প্রকাশিত: ০২:১৭ পিএম, ১৩ মে ২০১৫

পাকিস্তানি ক্রিকেটের কর্তাদের বাংলাদেশের ‘সর্বনাশা’ সফরের কারণ দর্শাতে গিয়ে রীতিমত হিমশিম খেতে হচ্ছে। বিগত ছয় বছরে এই প্রথম ঘরোয়া টেস্টে পাকিস্তানের এমন ছন্দপতন হয়েছে।

ওয়ানডেতে আইসিসি র‍্যাঙ্কিং এ নয় নম্বরে নেমে এসেছে পাকিস্তান। ২০০২ সালের পর এটাই তাদের সর্বনিম্ন র‍্যাঙ্কিং।বাংলাদেশের কাছে ৩-০ তে বাংলাওয়াশ হওয়াতেই তাদের এই দুরবস্থা।

এখন হুমকির মুখে রয়েছে ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে পাকিস্তানের অংশ নেয়া। কারণ সেই খেলায় কেবল আটটি সেরা দল অংশ নেবে।

টুরিস্টরা পর্যন্ত বাংলাদেশের কাছে তাদের প্রথম টি টোয়েন্টির পরাজয়ে ভোগান্তিতে পড়েছে। যদিও তারা গত সপ্তাহে দুটি টেস্ট সিরিজের দ্বিতীয়টিতে সে ক্ষতির কিছুটা পুষিয়ে নিয়েছিলেন।

তবুও পাক ক্রিকেটভক্তদের জেরা ও দোষারোপের প্রবল গতিতে পাক ক্রিকেটের কর্তারাসহ সবার অবস্থা আরো বিপর্যস্ত।

কিংবদন্তী পেসার ও ১৯৯২ সালে বিশ্বকাপ জয়ী পাকিস্তানের অধিনায়ক ইমরান খান এ পরাজয়কে ‘অকল্পনীয়’ বলে অভিহিত করেছেন।

সাবেক অধিনায়ক রমিজ রাজা এটাকে ‘পাকিস্তানের ক্রিকেট ইতিহাসের সর্বনিম্ন পয়েন্ট’ বলে আখ্যা দিয়েছেন।

হতবাক হয়ে যাওয়া বেশ কিছু সাবেক খেলোয়াড় ও অধিনায়কদের এ নিয়ে অনেক কথা রয়েছে। তাদের কথা ওই সকল কর্তাদের নিয়ে যারা পাক ক্রিকেটের হর্তাকর্তা হয়ে দাঁড়িয়েছেন। তারা এই সকল কর্তাদের তত্ত্বাবধানের পদ্ধতির দিকেই আঙুল তুলছেন।

এ বিষয়ে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চেয়ারম্যান শাহরিয়ার খান একটি ‘গুরুতর পর্যালোচনার’ বিষয়ে কথা দিয়েছেন। তবে তিনি পদ্ধতিগত ত্রুটির বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। আর খেলোয়ারদের ফিটনেস এখন ‘বিশ্বের সর্বনিম্ন পর্যায়ে’ সেই অভিযোগও অস্বীকার করেছেন।

এসএইচএস/একে/আরআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।