স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে অস্ত্র দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ


প্রকাশিত: ০৮:৪৭ এএম, ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে এক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে অস্ত্র দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। পুলিশ নিজে অস্ত্র দিয়ে উল্টো অস্ত্র উদ্ধারের নাটক করছে বলেও অভিযোগ করেছেন ওই স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার স্ত্রী। আজ শুক্রবার সকালে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন উপজেলা স্বেচ্ছসেবক লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহাদাত হোসেন সাজুর স্ত্রী রোজিনা আক্তার।

চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন হলরুমে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।  

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে রোজিনা আক্তার বলেন, আমার স্বামী কোনো অস্ত্রধারী নয়। আমার স্বামীকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হচ্ছে। একটি আওয়ামী পরিবারকে ধ্বংস করতেই পুলিশ তার বিরুদ্ধে অস্ত্র উদ্ধারের নাটক সাজিয়েছে।  

পুরো ঘটনার জন্য ইউপি চেয়ারম্যান রুস্তম আলীকে দায়ী করে রোজিনা বলেন, গত ইউপি নির্বাচনে তার স্বামী বিজয়ী প্রার্থীর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন। আসন্ন ইউপি নির্বাচনে দলীয় প্রতীক নিয়ে তার মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনা দেখেই প্রতিপক্ষ বর্তমান চেয়ারম্যান পাগলের মতো আচরণ করছেন। তিনি বলেন, আমার স্বামীকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতেই মূলত দাঁতমারা তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই বাতেনকে মোটা অঙ্কের উৎকোচ দিয়ে একাজ করাচ্ছেন চেয়ারম্যান রুস্তম আলী।

অস্ত্রের প্রকৃত মালিক কে তা নির্ধারণে ফিঙ্গার প্রিন্ট পরীক্ষা করার পরামর্শও দেন তিনি।

এসআই বাতেনের বিরুদ্ধে রোজিনা অভিযোগ করেন, মামলা হওয়ার পর পুলিশ নিরপেক্ষ তদন্ত করবেন এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আবদুল বাতেন রাত-বিরাতে যেকোনো সময় তাদের বাড়িতে গিয়ে নারীদের নানাভাবে হয়রানি ও হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন- সাজুর ভাই আমজাদ হোসেন সরকার, আলমগীর সরকার, রাশেদা আক্তার, রিনা আক্তার, সাজুর মা রাবেয়া সরকার, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মাহবুব, করিম, এম এ হাসেম, মুজিবুল হক, তানভীর, এয়াকুব আলী, সাব্বির প্রমুখ।
 
উল্লেখ্য, গত ২৮ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ফটিকছড়ি উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন সাজুর বাড়ি থেকে অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ। তখন অস্ত্র উদ্ধারকারী ভূজপুর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক দাঁতমারা তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আবদুল বাতেন অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়ে সঠিক কোনো তথ্য দিতে পারেননি। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি অসংলগ্ন কথাবার্তা বলেছিলেন। এছাড়া পুলিশ অস্ত্র মামলাটিতে যাদের সাক্ষী করেছে তারা ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত।

জীবন মুছা/এনএফ/আরএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।