তাপমাত্রা

কুড়িগ্রামে গত এক সপ্তাহ ধরে ঘন কুয়াশার দাপট বে‌ড়েই চল‌ছে। ৬‌ডি‌সেম্বর ভোর ৬টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ছবি: রোকনুজ্জামান মানু

দেশ-বিদেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতি মুহূর্তে ঘটছে কত রকম গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। সেসব গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার ছবি দিয়ে সাজানো হয়েছে আজকের আলোচিত ছবি।

দেশ-বিদেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতি মুহূর্তে ঘটছে কত রকম গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। সেসব গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার ছবি দিয়ে সাজানো হয়েছে আজকের আলোচিত ছবি।

ঢাকার রাস্তাগুলো আজ যেন আগুনে ঝলসে উঠেছে। সূর্য দফায় দফায় মানুষের মাথার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ছে, আর তাপমাত্রা যেন দেহের সঙ্গে সঙ্গে মনকেও গলিয়ে দিচ্ছে। যারা অফিস, ব্যবসা বা জরুরি কাজে ঘর থেকে বের হয়েছেন, তাদের জন্য এই রোদ কেবল অসুবিধা নয় এক প্রকার অদৃশ্য যুদ্ধ। ছবি: মাহবুব আলম

যেন নির্জন দুপুরে ঘুমিয়ে আছে শহর। ঢাকা, যে শহর ঘড়ির কাঁটার চেয়েও দ্রুত চলে, সেখানে এখন শূন্যতা। ঈদের ছুটি শেষ হয়নি বলে এখনো শহর ফিরে পায়নি তার চিরচেনা রূপ। এর মধ্যে ভ্যাপসা গরমে নিঃশ্বাস নিতেও কষ্ট। মেরুল বাড্ডা থেকে লিংকরোড-যে রাস্তাগুলো একসময় ব্যস্ততম হিসেবে পরিচিত ছিল, সেখানেও এখন মানুষ কিংবা যানবাহনের চলাচল হাতে গোনা। রাস্তার ওপর তপ্ত রোদ, মাঝে মাঝে দূরে ছুটে চলা একটা-দুটো রিকশা এই হলো ঢাকা শহরের আজকের চিত্র। লেখা: জান্নাত শ্রাবণী; ছবি: মাহবুব আলম

ঢাকায় আজ সকাল থেকেই রোদের দাপট। সূর্য যেন মাথার ওপরে দাঁড়িয়ে আছে। বাতাস গরম, নড়লেই যেন গায়ে আগুন লাগে। গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ভ্যাপসা অনুভূতি, যেন ঘামে ভিজে শরীর আর মন দুই-ই ক্লান্ত হয়ে পড়ছে। মানুষ যখন বাড়ির শান্ত কোণ, ছায়া ঘেরা বারান্দা কিংবা এসির শীতল পরশে আশ্রয় নিচ্ছে, তখন রাস্তায় দেখা যায় কিছু ক্লান্ত মুখ-ঘামে ভেজা, রোদে পোড়া, তবুও অদ্ভুত রকমের এক দৃঢ়তায় এগিয়ে চলা। তারা কেউ নামহীন, কেউ হয়তো রফিক, সাইদুল বা হাসান। রিকশার প্যাডেল ঘুরিয়ে, এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যাত্রী পৌঁছে দিয়ে তারা চালিয়ে যায় এই শহরের ছন্দ। নিজের ক্লান্তি, পিপাসা, ব্যথা আর কষ্টকে পেছনে ফেলে যে মানুষগুলো শহরের গতি সচল রাখে, তাদের কথা খুব কমই বলা হয়। এই তীব্র গরমে, যেখানে শহর পালিয়ে যায় ছায়ার খোঁজে, সেখানে তারাই রয়ে যায় রাস্তায়। লেখা: জান্নাত শ্রাবণী; ছবি: মাহবুব আলম

ঘড়ির কাঁটা দুপুর ১২টা ছুঁতেই ঢাকার রাজপথ যেন আগুনে ফেটে পড়ে। হাঁসফাঁস করা শহরজুড়ে ছায়া নেই, বাতাস নেই। কর্মব্যস্ত মানুষজন প্রয়োজনের তাগিদে রোদে ঘাম ঝরাচ্ছেন, কেউ অফিসে যাচ্ছেন, কেউবা বের হয়েছেন জরুরি কাজে। তবে সবার চোখে-মুখে একটাই অভিব্যক্তি, এই গরম আর সহ্য হচ্ছে না। ছবি: মাহবুব আলম

প্রচণ্ড গরমে যেন দমবন্ধ হয়ে আসছে প্রকৃতির। বাতাসে যেন আগুনের হলকা বইছে। রোদের ঝলসে যাওয়া দিনে শহর আর গ্রামের রাস্তাঘাট হয়ে উঠেছে ফাঁকা। তবে এই খরতাপে একদল দুরন্ত কিশোরের প্রাণের উচ্ছ্বাস যেন অন্য এক চিত্র এঁকে দেয়। কাছের পুকুরে তাদের দৌড়ঝাঁপ আর জলকেলিতে জেগে ওঠে জীবনের মিষ্টি স্পন্দন। ছবি: মাহবুব আলম

প্রকৃতি যেন আগুনের চাদর মেখে আছে। সূর্যরশ্মির ঝলকে প্রতিটি দুপুর অগ্নিময় হয়ে উঠছে। রাস্তাঘাট, মাঠ-ঘাট, গাছপালা সব যেন জ্বলছে অদৃশ্য আগুনে। এই দুর্বিষহ দাবদাহের মধ্যে ফুটে উঠেছে কৃষ্ণচূড়া। যেন প্রকৃতি নিজেই নিজের ব্যথাকে রাঙিয়ে তুলেছে লাল শোভায়। ছবি: মাহবুব আলম

চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা হঠাৎ করেই ৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে ১০ ডিগ্রিতে নেমে এসেছে। যার ফলে শীতের তীব্রতা আবারও বৃদ্ধি পেয়েছে। ছবি: হুসাইন মালিক