শাবিপ্রবি

২৫ শিক্ষার্থীর বহিষ্কার বাতিলের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক শাবিপ্রবি
প্রকাশিত: ০৬:২৫ পিএম, ১০ অক্টোবর ২০২৫
বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বরে জড়ো হয়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করছে শিক্ষার্থী

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) র‍্যাগিংয়ের অভিযোগে ২৫ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা টানা তৃতীয় দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন।

শুক্রবার (১০ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বরে জড়ো হয়ে অর্থনীতি, পরিসংখ্যানসহ বিভিন্ন বিভাগের কয়েকশো শিক্ষার্থী এই প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশ নেন।

অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে শিক্ষার্থীরা ‘প্রহসনের বহিষ্কার মানি না, মানব না’, ‘শাবিপ্রবি প্রশাসন, প্রহসন প্রহসন’, ‘সাস্টিয়ান সাস্টিয়ান, এক হও এক হও’, ‘প্রশাসনের স্বৈরাচারিতা মানিনা, মানব না’, ‘আমাদের দাবি মানতে হবে, মানতে হবে’— এমন নানা স্লোগানে ক্যাম্পাস মুখরিত করে তোলেন। একই সঙ্গে তারা হাতে নেন বিভিন্ন প্রতিবাদী লেখা সম্বলিত প্ল্যাকার্ডও।

অর্থনীতি বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী হাফিজুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, র‍্যাগিংয়ের ঘটনাটি মীমাংসা হওয়ার পরও প্রক্টরিয়াল বডির প্ররোচনায় এক বছর পর এসে শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে জেনেছি, ২৩৪তম সিন্ডিকেট সভার আগে শৃঙ্খলা বোর্ডের কাছে বিভাগীয় প্রধানের সই করা মীমাংসার কপি পাঠানো হয়েছিল, কিন্তু সেটি তারা বাতিল করে দেন। প্রক্টরই প্রশাসনকে বাধ্য করেছেন বহিষ্কারের আদেশ দিতে।

এই শিক্ষার্থী আরও হুঁশিয়ারি দেন, দ্রুত সিন্ডিকেট সভা ডেকে এই বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, গত ২৫ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৩৭তম সিন্ডিকেট সভায় র‍্যাগিংয়ের অভিযোগে অর্থনীতি ও পরিসংখ্যান বিভাগের ২৫ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত অনুমোদন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর প্রতিবাদে দুই বিভাগের শিক্ষার্থীরা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনসহ টানা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। আজ ছিল ওই আন্দোলনের তৃতীয় দিনের অবস্থান কর্মসূচি।

এসএইচ জাহিদ/কেএইচকে/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।