শহীদ সাজিদের স্মরণে জবি শিবিরের বিতর্ক আয়োজন
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে আন্তঃবিভাগ বিতর্ক প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। জুলাই বিপ্লবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র শহীদ ইকরামুজ্জামান সাজিদের আত্মত্যাগের স্মরণে এটি আয়োজিত হয়।
শনিবার (১১ অক্টোবর) সকাল ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহিদ রফিক ভবনে এ বিতর্ক প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করা হয়।
জানা যায়, আগামী ১৩ অক্টোবর ফাইনাল রাউন্ড ও পুরস্কার বিতরণীর মাধ্যমে প্রতিযোগিতাটি শেষ হবে। এ বিতর্ক প্রতিযোগিতার মূল প্রতিপাদ্য হলো ‘বিতর্ক হোক মুক্তির সোপান’।
এ বিষয়ে জবি শাখা ছাত্রশিবিরের বিতর্ক সম্পাদক নাহিদ হাসান রাসেল বলেন, প্রি রেজিস্ট্রেশনে ২৮টা বিভাগ রেজিস্ট্রেশন করেছে, যার মধ্য থেকে বাছাই করে ২৪টা টিম নিয়ে বিতর্কের আয়োজন করছি। বিতর্কটি হবে এশিয়ান পার্লামেন্টারি বিতর্ক পদ্ধতিতে। প্রাথমিকভাবে তিন রাউন্ড বিতর্ক হবে। এ তিন রাউন্ড বিতর্ক শেষে আমরা ৮টা টিমকে সিলেক্ট করে পরবর্তী কোয়ার্টার রাউন্ডে নির্বাচিত করব, এরপর কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমিফাইনাল ও ফাইনাল রাউন্ড অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি আরও বলেন, শনিবার বিতর্ক প্রতিযোগিতার সেমিফাইনাল রাউন্ড পর্যন্তু অনুষ্ঠিত হবে এবং ১৩ অক্টোবর শহীদ মিনারের সামনে ফাইনাল রাউন্ড অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় ছাত্রশিবিরের প্রকাশনা সম্পাদক ও ডাকসুর নবনির্বাচিত ভিপি সাদিক কায়েম।
এ সম্পর্কে জবি শাখা শিবিরের সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম বলেন, শহীদ সাজিদের আত্মত্যাগকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য এবং তার স্মৃতিকে জাগ্রত রাখার জন্য আমরা একটি বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছি। আমরা মূলত চাই বিতর্কের চর্চা প্রত্যেক শিক্ষার্থীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়ুক। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা যেন বিতর্কচর্চার মধ্য দিয়ে সুবিতার্কিক এবং ভালো বক্তা হয়ে ওঠে এবং তার অর্জিত জ্ঞান, বাগ্মিতা এবং যোগ্যতাকে এই দেশ ও সমাজের মানুষের জন্য এবং সর্বোপরি পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর পক্ষে শক্তি হিসেবে কাজ করুক। শিক্ষার্থীদের এই জ্ঞান,বাগ্মিতা ও কথা বলার ক্ষমতা অন্যায়ের বিপক্ষে সত্যকে প্রতিষ্ঠা করতে পারে এবং মানুষের কল্যাণ সাধন করতে পারে এই প্রত্যাশাকে সামনে রেখে আমাদের এই বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন।
আরও জানা যায়, বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বিজয়ী দলের জন্য তিন হাজার এবং রানার আপের জন্য দুই হাজার টাকার প্রাইজমানিসহ ক্রেস্ট এবং সব বিতার্ককিকের জন্য সার্টিফিকেটের ব্যবস্থা রয়েছে।
টিএইচকিউ/এএমএ/এমএস