বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অষ্টম সমাবর্তন ১২ ফেব্রুয়ারি
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) অষ্টম সমাবর্তন আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। তবে শারীরিক অসুস্থতার কারণে রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মো. আবদুল হামিদ সমাবর্তনে অংশ নিতে পারছেন না।
এবারের সমাবর্তনে ৬ হাজার ৫২২ জন গ্রাজুয়েট অংশ নিচ্ছেন। যাদের মধ্যে গোল্ড মেডেল পাচ্ছেন মোট ২০১ জন। সমাবর্তনে সভাপতিত্ব করবেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
রোববার (৫ জানুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সমাবর্তনের প্রচার ও প্রকাশনা কমিটির সদস্য সচিব কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনু।
তিনি বলেন, এবারের সমাবর্তনে ৬ হাজার ৫২২ গ্রাজুয়েট রেজিস্ট্রেশন করেছেন। এরমধ্যে ৫৬ জন পিএইচডি, এক হাজার ৫১৯ জন স্নাতকোত্তর এবং চার হাজার ৯৪৭ জন স্নাতক গ্রাজুয়েট। সমাবর্তনে গোল্ড মেডেল বা স্বর্ণপদকের জন্যে মনোনীত হয়েছেন ২২৪ জন। যার মধ্যে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ২০৬ জন এবং স্নাতক পর্যায়ে ১৮ জন রয়েছেন। তাদের মধ্যে স্নাতকোত্তর ১৮৩ জন এবং স্নাতক ১৮ জন রেজিস্ট্রেশন করেছেন। রেজিস্ট্রেশন করা এই ২০১ জন সমাবর্তনে স্বর্ণপদক পাবেন। এছাড়া স্নাতক অ্যাওয়ার্ডে মনোনীত হয়েছেন মোট ৫০ জন, যার মধ্যে ৪২ জন রেজিস্ট্রেশন করেছেন।
কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ বলেন, রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলরের অনুশাসন অনুযায়ী সমাবর্তনে সভাপতিত্ব করবেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। সমাবর্তনে বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। বিশেষ অতিথি হিসেবে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ড. শামসুল আলম, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী উপস্থিত থাকবেন।
সমাবর্তন বিষয়ে বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান বলেন, একসঙ্গে অনেক গ্র্যাজুয়েটকে নিয়ে সমাবর্তন হতে যাচ্ছে, যা বাকৃবির ইতিহাসে অন্যতম বড় একটি সমাবর্তন। ২০১৪ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত সবাইকে নিয়ে সমাবর্তন আয়োজন করতে পেরে খুবই ভালো লাগছে। তবে শারীরিক অসুস্থতার কারণে রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মো. আবদুল হামিদ সমাবর্তনে অংশ নিতে পারছেন না। বিভিন্ন প্রতিকূলতা পেরিয়ে সমাবর্তন আয়োজন করতে পেরে ভালো লাগছে।
সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. ছাইফুল ইসলাম, উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণা কমিটির কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম, ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. খান মো. সাইফুল ইসলাম, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মহির উদ্দীন, সমাবর্তনের প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রুহুল আমিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এমআরআর/জিকেএস
