শেকৃবি ছাত্রী মারিয়ার ‘মৃত্যু’

দায়ীদের চিহ্নিত ও ক্লাস-পরীক্ষার চাপ কমানোর দাবিতে বিক্ষোভ

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
প্রকাশিত: ০২:১৮ পিএম, ০২ এপ্রিল ২০২৩

আবাসিক হলের ১০তলা ভবনের ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মারিয়া রহমানের মৃত্যুতে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ ও ক্লাস-পরীক্ষার চাপ কমানোসহ সাত দফা দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন শিক্ষার্থীরা।

রোববার (২ এপ্রিল) ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবি সংবলিত স্মারকলিপি উপাচার্যকে দেবেন বলেও জানান।

দায়ীদের চিহ্নিত ও ক্লাস-পরীক্ষার চাপ কমানোর দাবিতে বিক্ষোভ

শিক্ষার্থীদের দাবি, মারিয়া রহমানের আত্মহত্যার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে প্রশাসনিক ও আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।

তাদের অন্য দাবিগুলো হলো- মারিয়ার পরিবারকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে এককালীন অর্থ প্রদান, সেশনজট ও রি-এড দূর করতে ক্যারিঅন ব্যবস্থা চালু, সিটি-কুইজ পরীক্ষা কমিয়ে এক সিটি ও এক ফাইনাল এবং এক্সাম উইক চালু, ব্যবহারিক খাতা লেখার পরিবর্তে ক্লাস নোট দেওয়া, অসুস্থতার কারণে ক্লাসে অনুপস্থিত শিক্ষার্থীদের ফাইনাল পরীক্ষায় অংশগ্রহণে নিয়ম শিথিল করা, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিক্ষকদের আচরণ কেমন হওয়া উচিত, তা নিয়ে সুস্পষ্ট আচরণবিধি ও নীতিমালা প্রণয়ন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট নিয়োগ।

দায়ীদের চিহ্নিত ও ক্লাস-পরীক্ষার চাপ কমানোর দাবিতে বিক্ষোভ

গত ২৪ মার্চ মারিয়া রহমান আবাসিক হলের ১০তলা ভবনের ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়েন। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

শিক্ষার্থীদের দাবি, অ্যাকাডেমিক ক্লাস-পরীক্ষার চাপ ও কিছু শিক্ষকের অমানবিক আচরণের বলি হয়েছেন মারিয়া। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দাবি, মানসিক সমস্যার কারণে মারিয়া আত্মহত্যা করেছেন। মারিয়ার মৃত্যুর পর থেকেই আন্দোলন করে যাচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

তাসনিম আহমেদ তানিম/এএএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।