অতিরিক্ত ভাড়া না দেওয়ায় শিক্ষার্থীর ওপর হামলা, মহাসড়ক অবরোধ

অতিরিক্ত ভাড়া না দেওয়ায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থীর ওপর হামলা ঘটনা ঘটেছে। এতে পাঁচ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এর প্রতিবাদে কুড়িগ্রাম-রংপুর-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করেন তারা।

বৃহস্পতিবার (২৬ মে) দিনগত রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অদূরে রংপুরের প্রবেশদ্বার মডার্ন মোড় এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। ঘটনাটি জানাজানি হলে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।

এক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক, বহিরাঙ্গন কার্যক্রম দপ্তরের পরিচালক, মার্কেটিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদকসহ পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। হামলাকারীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতারের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেন শিক্ষার্থীরা। বর্তমানে যান চলাচল স্বাভাবিক আছে।

আহত শিক্ষার্থীরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী (১৪ ব্যাচ) আল আমিন, নয়ন, ফয়সাল, নাহিদ, আশিক। তাদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আহতদের সহপাঠীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আল আমিন মডার্ন মোড় থেকে জয়গীর যাওয়ার জন্য দূরপাল্লার একটি বাসে ওঠেন। বাসের সুপারভাইজার অতিরিক্ত ভাড়া দাবি করলে তিনি দিতে চান না। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে তাকে বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন চালক হেলপার।

তারা আরও জানান, আল আমিনকে উদ্ধারের জন্য ৮-১০ জন সহপাঠী মডার্ন মোড়ে পৌঁছানো মাত্রই তাদের ওপরও অতর্কিত হামলা করে বাস স্টাফ এবং তাদের সহযোগীরা। এ সময় হামলাকারীরা শিক্ষার্থীদের মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ কেড়ে নেন। পরে আহত শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করে ক্যাম্পাসে নিয়ে আসা হয়। বর্তমানে তারা রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

মার্কেটিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান শেখ মাজেদুল হক জাগো নিউজকে বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। আমার শিক্ষার্থীরা আহত হোক এমন কোনো ঘটনার পুনরাবৃত্তি চাই না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর গোলাম রব্বানী জাগো নিউজকে বলেন, আহতদের চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আমি সার্বক্ষণিক খোঁজ রাখছি। তারা বর্তমানে সুস্থ আছেন।

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের তাজহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হোসেন আলী জাগো নিউজকে বলেন, আমরা দোষীদের গ্রেফতারে চেষ্টা করছি। হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে কঠিন শাস্তির আওতায় আনা হবে।

এসজে/জেআইএম