রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছু প্রতিবন্ধীদের পাশে পিডিএফ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় ভর্তিচ্ছু প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের নানাভাবে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (পিডিএফ) টিমের সদস্যরা।
মঙ্গলবার (৩০ মে) সকাল থেকেই সংগঠনটির সভাপতি আশিকুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক সৌরভের নেতৃত্বে সদস্যদের ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসা প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের হুইলচেয়ারে কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়াসহ বিভিন্ন সেবামূলক কার্যক্রম করতে দেখা যায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, ড. মো. ওয়াজেদ মিয়া একাডেমিক ভবনের পাশে হেল্পক্যাম্প বসিয়েছেন পিডিএফ টিমের কর্মীরা। সংগঠনের কর্মীরা কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের সহযোগিতা করছেন। পরীক্ষার দ্বিতীয়দিনে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের হুইলচেয়ারে করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কেন্দ্র পোঁছে দিচ্ছেন তারা এবং পরীক্ষা শেষে নির্দিষ্ট জায়গায় রেখে আসছেন। এছাড়া শিক্ষার্থীদের মাঝে সুপেয় পানি, অভিভাবকদের বসার ব্যবস্থা, শিক্ষার্থীদের মাঝে কলম বিতরণসহ নানা দিয়ে সহায়তা করছেন সংগঠনটির কর্মীরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সংগঠনটির সভাপতি আশিকুর রহমান সোহাগ বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রথম দিনের মতো দ্বিতীয় দিনেও পিডিএফ অ্যাডমিশন হেল্পক্যাম্প বিভিন্ন সেবা দিয়ে যাচ্ছে। প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের সিটে পৌঁছে দেওয়া, সাধারণ পরীক্ষার্থীদের দিকনির্দেশনাসহ ভর্তিচ্ছু অভিভাবকদের মধ্যে বিনামূল্যে পানি বিতরণ ও বসার ব্যবস্থা করা হয়। এছাড়া হুইলচেয়ারে করে প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে পোঁছে দেওয়াসহ ফাস্ট অ্যাইড সরবরাহ করে যাচ্ছে। আমাদের এ কার্যক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রো-ভিসি সহায়তা করেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পিডিএফের উপদেষ্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোখলেছুর রহমান মিলন বলেন, প্রতিবছরের মতো এবারও পিডিএফ ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা আসলে তাদের রিসিভ করে নির্দিষ্ট কেন্দ্রে পৌঁছে দিচ্ছেন। এছাড়া অভিভাবকদের মাঝে সুপেয় পানি ও বিভিন্ন সহযোগিতা করেন এ ক্লাবের সদস্যরা।
পিডিএফ সাধারণত প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের উন্নয়ন এবং তাদের অধিকার নিয়ে কাজ করে। ২০০৮ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এবং ২০১০ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সংগঠনটির যাত্রা শুরু হয়।
মনির হোসেন মাহিন/এমআরআর/এএসএম