নিয়মিত দুধপানে কমে করোনার ঝুঁকি

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বাকৃবি
প্রকাশিত: ০৫:৪১ পিএম, ০১ জুন ২০২৩

নিয়মিত দুধপানে করোনার ঝুঁকি কমে যায়। দুধ খেলে যেমন ব্রেনের বিকাশ হয় তেমনি বিভিন্ন রোগের সম্ভাবনাও কমিয়ে দেয়। প্রোটিনের মাত্রা পরিমিত থাকায় প্রতিদিন দুধ পান করা উচিৎ।

বিশ্ব দুগ্ধ দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত এক সেমিনারে এসব কথা বলেন, ডেইরি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক (অব) ড. মো. নুরুল ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (১ জুন) সকাল সাড়ে ১০টায় শিল্পাচার্য জয়নাল আবেদীন মিলনায়তনে ‘পুষ্টি ও জীবিকার উৎস হিসেবে পরিবেশ বান্ধব ডেইরি’ শীর্ষক সেমিনার আয়োজন করা হয়।

এ সময় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশ্ব দুগ্ধ দিবস উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আশিকুল ইসলাম।

আরও পড়ুন: কুকুরের দুধপানে বড় হচ্ছে বিড়াল ছানা!

দিবসটি উপলক্ষে দিনব্যাপী নানা আয়োজন করে ডেইরি বিজ্ঞান বিভাগ। বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থিত স্কুল ও মাদ্রাসার শিশুদের দুধ পান করানো, বর্ণাঢ্য র্যালি ও সেমিনারের আয়োজন করে।

অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোহেল রানা সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের রুটিন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আউয়াল, পশুপালন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ছাজেদা আক্তার, আকিজ ডেইরি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো মনিরুজ্জামান ও বিশ্ব দুগ্ধ দিবস উৎযাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদ উপস্থিত ছিলেন।

অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আশিকুল ইসলাম মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনায় বলেন, দুধ একটি সুষম খাদ্য। দুধে উপস্থিত ল্যাকটোজ মানুষের মস্তিষ্ক এবং স্নায়ু কোষ বর্ধনে সহায়তা করে। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দৈনিক ২৫০ মিলি লিটার দুধ খাওয়া প্রয়োজন। তবে এদেশের মানুষের গড় প্রাপ্যতা প্রায় ২০৮.৭০ মিলি লিটার।

তিনি আরও বলেন, ঘাটতি মেটাতে আমদানি করা হচ্ছে প্রায় দুই হাজার ৮০০ কোটি টাকার গুঁড়ো দুধ। যার মান নিয়ে রয়েছে নানা সংশয়। গত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশে দুধের উৎপাদন বাড়লেও জনগণের মধ্যে দুধ পানের আগ্রহ ওই হারে না বাড়ায় দুগ্ধ খামারিরা সমস্যায় পড়ছেন। তাই উৎপাদন বাড়াতে হলে দুধের ব্যবহার ও দুধ পানের অভ্যাসও গড়ে তুলতে হবে। প্রচারণার মাধ্যমে জন সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে।

আকিজ ডেইরি ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, নিজের দেশে দুধ উৎপাদন করতে পারলে বাইরের দেশে থেকে আমদানি করতে হবে না। ডেইরি শিল্পের প্রধান বাঁধা খাদ্য মূল্যবৃদ্ধি। আকিজ ডেইরি ২০০৬ সালে প্রোডাকশনে আসে। শুরু থেকেই প্রান্তিক কৃষকদের সঙ্গে কাজ করে আসছে আকিজ ডেইরি।

মিল্ক ভিটার সহকারী পরিচালক মির্জা আব্দুল কামাল আজাদ বলেন, খামারিদের ন্যায্যমূল্য ও দেশের মানুষের দুধের চাহিদা মেটাতে কাজ করে যাচ্ছে মিল্কভিটা। এদেশে প্রান্তিক খামারিদের নিয়ে সর্বপ্রথম কাজ শুরু করে এ প্রতিষ্ঠান। দুধের চাহিদা মেটাতে শীর্ষে রয়েছে মিল্কভিটা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেইরি বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোহেল রানা সিদ্দিকী বলেন, আজ দিবস উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুলগুলোতে দুধ পান করানো হয়েছে। এতে করে শিশুরা যেমন দুধ খেতে উৎসাহ পাবে সেই সঙ্গে তাদের বাবা-মায়ের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে।

আরএইচ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।