রাবিতে মেয়র লিটন

‘জিয়াউর রহমান একমাত্র কমান্ডার যে কখনো যুদ্ধে যায়নি’

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক রাবি
প্রকাশিত: ০৭:৫২ পিএম, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩

আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, ‘জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে একমাত্র কমান্ডার যে কখনো যুদ্ধের ময়দানে যায়নি। কোনো পাকবাহিনীকে মারেনি। কেননা তারা ছিল জিয়াউর রহমানের বন্ধু, শত্রু নয়।’

সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবাস বাংলাদেশ মাঠে শাখা ছাত্রলীগের ২৬তম বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, বলা যায় জিয়াউর রহমান ঘটনাক্রমে মুক্তিযোদ্ধা। পাকিস্তানিরা তাকে বিশ্বস্ত অনুচর মনে করে চট্টগ্রাম বন্দরে অস্ত্র খালাস করতে পাঠায়। কিন্তু পথিমধ্যে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে দেখা হলে তারা তাকে কালুরঘাটে পাঠান বঙ্গবন্ধুর পাঠানো চিঠি পাঠ করে শোনানোর জন্য। কিন্তু দুঃখজনকভাবে অনেকে তাকে স্বাধীনতার ঘোষক বলে।

বাংলাদেশের রাজনীতির আকাশে আবারো দুর্যোগের ঘনঘটা দেখা যাচ্ছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, নির্বাচন এলেই আওয়ামী লীগের বাইরের দল যারা নিজেদেরকে জাতীয়তাবাদী হিসেবে পরিচয় দেয় কিন্তু তারা পবিত্র ধর্ম ইসলামকে ব্যবহার করে মৌলবাদী ও চরমপন্থীর রাজনীতি করে, সেই জামায়াত-বিএনপির মাথা নষ্ট হয়ে যায়। ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিপুল ভোটে জয়লাভের পর কেন জানি জামায়াত-বিএনপি আর নির্বাচন করতে চায় না। তাতে আমার কোনো সমস্যা নাই। কিন্তু তারা যখন বলে স্বাধীন বাংলাদেশে নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না তখন সেটা মেনে নেওয়া হবে না।

সম্মেলনের বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেন, আজকের আলোকিত বাংলাদেশকে অন্ধকারের অতল গহ্বরে তলিয়ে নেওয়ার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। আজ থেকে ২০ বছর আগেও বাংলাদেশের ৫০ ভাগ মানুষ তিনবেলা খেতে পারতো না। উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে সবসময় মঙ্গা লেগে থাকতো। আজকে বাংলাদেশ জননেত্রী শেখ হাসিনার মাধ্যমে এগিয়ে যাচ্ছে। পাকিস্তানের প্রেতাত্মা ও বংশধরেরা বাংলাদেশকে আবার পিছিয়ে নেওয়ার ষড়যন্ত্র করছে। জননেত্রী শেখ হাসিনা বেঁচে থাকতে আমরা বাংলাদেশকে পিছিয়ে নিতে দেবো না।

এ সময় প্রথম অধিবেশন শেষে প্রায় সাত বছর দায়িত্বে থাকা গোলাম কিবরিয়া ও ফয়সাল আহমেদ রুনুর নেতৃত্বাধীন কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেন সম্মেলনের উদ্বোধক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান।

২০১৬ সালের ৮ ডিসেম্বর রাবি ছাত্রলীগের ২৫তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় এবং ১৩ সদস্যবিশিষ্ট এ কমিটির নাম প্রকাশ করা হয়। এর পর থেকে আজ পর্যন্ত দীর্ঘ প্রায় ৭ বছর ধরে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন তারা।

মনির হোসেন মাহিন/এফএ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।