এসডিজি অর্জনে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি সাফল্য দেখিয়েছে বাংলাদেশ

এসডিজি অর্জনে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি সাফল্য দেখিয়েছে বাংলাদেশ বলে মন্তব্য করেছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সভাপতি সাদ্দাম হোসেন।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের কথা বলেন সেই গণতন্ত্রকে শুধু ভোটাধিকার ও একদিনের উৎসবের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখেন না। সেটির প্রমাণ তিনি আশ্রয়ণ প্রকল্পের মধ্য দিয়ে রাখেন। সেটির প্রমাণ সকল স্তরের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির আওতায় নিয়ে আসার মধ্যে রাখেন। সেটির সব থেকে বড় প্রমাণ বিশ্বের ১০টি প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী দেশের মধ্যে বাংলাদেশ একটি।

মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) শাখা ছাত্রলীগের ৪র্থ বার্ষিক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বিশ্ববিদ্যালয় হলো আমাদের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে অসংখ্য তরুণ-তরূণী পড়ালেখা করে। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে আহ্বান জানাবো, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়েও যেন ইঞ্জিনিয়ারিং সাবজেক্ট খোলা হয়। সেখানেও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নিয়ে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার সুযোগ দেওয়া হয়।

সব বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য সমান সুযোগ-সুবিধার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, বরাদ্দ দেওয়ার জন্য শুধু ঢাকা কেন্দ্রীক নয়। বুয়েটে যে ধরনের সুযোগ-সুবিধা, সেগুলো যেন অন্যান্য সব বিশ্ববিদ্যালয়েও দেওয়া হয়- আমরা সেই আহ্বান করছি।

এসময় বার্ষিক সাংগঠনিক রিপোর্ট পেশ করেন রুয়েটের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী মাহফুজুর রহমান তপু।

এর আগে দুপুর সাড়ে ১২টায় জাতীয় সংগীত পরিবেশন, জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং বেলুন-ফেস্টুন, পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন।

রুয়েট ছাত্রলীগের সভাপতি মোহা. ইসফাক ইয়াসশির ইপু সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা ছিলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান। বিশেষ অতিথি ছিলেন, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল ও রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ডা. আনিকা ফারিহা জামান অর্ণা।

এ ছাড়া বিশেষ বক্তা ছিলেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আবু সাইদ কনক। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি এনামুল হক তানান।

মনির হোসেন মাহিন/এএইচ/এএসএম