ঢাবি উপাচার্য

জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি পূরণে স্বেচ্ছাসেবীদের ভূমিকা রাখতে হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:৩২ পিএম, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেছেন, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে আছে। উপকূলীয় এলাকায় সাইক্লোনসহ বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ লেগেই থাকে। এসব দুর্যোগে স্বেচ্ছাসেবীরা মানুষের পাশে এগিয়ে আসে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশে যেসব ক্ষতি হচ্ছে তা পূরণে স্বেচ্ছাসেবীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।

মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী দিবস উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে ভলান্টারি সার্ভিস ওভারসিস (ভিএসও) বাংলাদেশ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ভিএসও-বাংলাদেশর কান্ট্রি ডিরেক্টর খবিরুল হক কামাল।

এতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রুনাই দারুস সালামের হাইকমিশনার হারিস ওথমান, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) উপ-উপাচার্য প্রফেসর খন্দকার মোকাদ্দেম হোসেন, আইএলও বাংলাদেশের প্রজেক্ট ম্যানেজার এ কে এম মাসুমুল আলম ও যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) হামিদ খান, জি আই জেড বাংলাদেশের হামিদুল ইসলাম চৌধুরী প্রমুখ।

ঢাবি উপাচার্য বলেন, মানুষের জন্য ছাড় দেওয়ার মানসিকতাই হলো বড় স্বেচ্ছাসেবিতা। স্বেচ্ছাসেবীর মাধ্যমে যুবকদের জন্য ভবিষ্যতে সুন্দর একটি দেশ প্রস্তুত করে রাখতে হবে। স্বেচ্ছাসেবীদের কাজের মধ্যেমে দেশকে পরিবর্তন করতে হবে। স্বেচ্ছাবেসীরা মানুষকে রক্ষার জন্য জীবন বাজি রেখে কাজ করেছে। বাংলাদেশে ২০ লাখ মানুষ স্বেচ্ছাসেবীর কাজ করছে।

ভিএসও-বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর খাবিরুল হক কামাল বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে ৫০ হাজার ভিএসও স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছে। ভবিষ্যতে সুন্দর দেশ গড়তে হলে স্বেচ্ছাসেবীদের এগিয়ে আসতে হবে। সব স্বেচ্ছাসেবক একত্রে কাজ করতে পারলে দেশকে একটি সমৃদ্ধির জায়গায় নেওয়া সম্ভব। যারা স্বেচ্ছাসেবীর কাজ করছে আমরা সবসময় তাদের প্রতি ইতিবাচকভাবে অনুপ্রেরণা দেওয়ার চেষ্টা করি।

তিনি বলেন, সরকার স্বেচ্ছাসেবকদের নানাভাবে সহযোগিতা করছে। আমরা আশাবাদী স্বেচ্ছাসেবীরা আরও কাজের সুবিধা পাবেন। টেকসই উন্নয়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলা করার জন্য আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে এবং এটাই কাজ করার উপযুক্ত সময়। আমরা বাংলাদেশকে টেকসই উন্নয়শীল দেশ করতে চাই। সে লক্ষ্যে ভিএসও বাংলাদেশ কাজ করছে।

যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের পরিচালক হামিদ খান বলেন, পৃথিবীর যত ভালো কাজ হয়েছে তার পেছনে স্বেচ্ছাসেবীর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। যত উন্নয়ন আছে সেখানে স্বেচ্ছাসেবীর ভূমিকা আছে। স্বেচ্ছাসেবী কাজের গুরুত্ব অনেক বেশি। তরুণ যুবকদের স্বেচ্ছাসেবী কাজে এগিয়ে আসার জন্য সরকার কাজ করছে। সরকার যুব সমাজের কর্মসংসস্থানের জন্য কাজ করছে। সরকার ২২ হাজার যুব সংগঠনকে নিবন্ধন দিয়েছে। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবীর প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করছে।

অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন জেলার ২০ জন শ্রেষ্ঠ স্বেচ্ছাসেবী ও স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানকে অনন্য স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজের জন্য সম্মাননা দেওয়া হয়।

আল সাদী ভূঁইয়া/এমআইএইচএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।