ঢাবি উপাচার্যের সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:৫৮ পিএম, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত মি. পার্ক ইয়ং সিক।

রোববার (১০ ডিসেম্বর) উপাচার্যের সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেছেন তিনি। সাক্ষাৎকালে তারা পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়াদি নিয়ে বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোরিয়ান ভাষাশিক্ষা কোর্সের আরও সম্প্রসারণের ব্যাপারে আলোচনা করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোরিয়ান ভাষা বিভাগ চালুর সম্ভাব্যতা নিয়েও আলোচনা হয়। তারা কোরিয়ায় কর্মসংস্থানের জন্য শিক্ষার্থীদের ভাষাগত দক্ষতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

jagonews24

উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বাংলাদেশে দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টি এবং কারিগরি শিক্ষার উন্নয়নে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের কাছে প্রযুক্তিগত সহায়তা চান। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিরাজ করছে। বাংলাদেশের সার্বিক আর্থসামাজিক উন্নয়নে দক্ষিণ কোরিয়া গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে যাচ্ছে। দু’দেশের মধ্যে বিরাজমান এ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও জোরদার হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। উপাচার্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং কোরিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন এবং ব্লু-ইকোনমি বিষয়ে যৌথ সহযোগিতামূলক শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম চালুর ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

পরে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত মি. পার্ক ইয়ং সিক নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ‘সমসাময়িক কোরিয়া: ইতিহাস, গণতন্ত্র, অর্থনীতি, শান্তি ও নিরাপত্তা’ শীর্ষক একটি লেকচার দেন। এতে সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। এসময় কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন ইনস্টিটিউটের পরিচালক, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান এবং শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স অফিসের পরিচালক অধ্যাপক ড. সামসাদ মর্তূজা অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন।

আল সাদী ভূঁইয়া/এমএএইচ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।