জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

শেখ মুজিবের ম্যুরাল ও গ্রাফিতি মুছে দিলো শিক্ষার্থীরা

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
প্রকাশিত: ০৮:৩৫ এএম, ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল গ্রাফিতি মুছে ফেলেছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাত সোয়া ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইন্সটিটিউটের দেয়ালে থাকা শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল এবং আল-বেরুনী হলের দেয়ালে থাকা গ্রাফিতি মুছে দেন তারা।

এর আগে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলাকা থেকে একটা মিছিল নিয়ে তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইন্সটিটিউটের সামনে যান শিক্ষার্থীরা। এসময় ‘মুজিববাদ, মুর্দাবাদ’; ‘আওয়ামী লীগের আস্তানা, ভেঙ্গে দাও গুড়িয়ে দাও’ ইত্যাদি স্লোগান দেন তারা। এর পর সেখান থেকে গিয়ে শেখ হাসিনা হলের সামনে থাকা শেখ হাসিনার অবশিষ্ট নামফলক ভাঙেন।

এসময় জাহাঙ্গীরনগর সংস্কার আন্দোলনের আহ্বায়ক ইয়াহিয়া জিসান বলেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ভারতে বসে লাইভ করছে। এই ফ্যাসিস্ট দেশবাসীকে ম্যাসেজ দিতে চায় সে আবার ফিরে আসবে। ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে। কিন্তু আমরা এ ষড়যন্ত্র মেনে নেবো না। আমরা চাই দ্রুত শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে গণহত্যার দায়ে বিচার করা। এবং আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন জারি করা হোক।

নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নাজমুল হাসান বলেন, যে মুজিবকে কেন্দ্র করে শেখ হাসিনা ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠেছে সে মুজিবের স্মৃতি চিহ্ন আমরা রাখতে চাই না। আমরা এর মাধ্যমে এই বার্তাও দিতে চাই যে, আর কেউ যদি হাসিনার মতো ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠে তাদেরও এই অবস্থা হবে।

শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক মিজানুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে যে সকল চিহ্ন ব্যবহার করে খুনি হাসিনা বাংলাদেশের মানুষের সকল অধিকার হরণ করেছে আমরা সবাই তা চিরতরে মুছে দিচ্ছি। এখন দেশ থেকে পালিয়ে গিয়েও দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রের লিপ্ত রয়েছে সে। আমরা সরকারের নিকট দাবি জানাই দ্রুত সময়ের মধ্যে তাকে দেশে এনে জনসম্মুখে তার বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

সৈকত ইসলাম/এএইচ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।