ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ৮ কিলোমিটার এলাকায় যানজট

উপজেলা প্রতিনিধি উপজেলা প্রতিনিধি রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ)
প্রকাশিত: ০৬:৫৭ পিএম, ২০ আগস্ট ২০২৫

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে আট কিলোমিটার এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রী ও চালকরা। বুধবার (২০ আগস্ট) দুপুর থেকে উপজেলার বরপা পর্যন্ত থেমে থেমে চলছে যানবাহন।

যাত্রী ও হাইওয়ে পুলিশ সূত্র জানায়, যত্রতত্র যাত্রী উঠানামা, নিয়ম ভঙ্গ করে রুটে গাড়ি চলানো, মহাসড়ক উন্নীতকরণ কাজের জন্য সড়ক সরু হয়ে যাওয়া ও ভারী বর্ষণে সড়কে তৈরি হওয়া খানাখন্দ দিয়ে যানবাহন চলাচল করতে না পারায়ও যানজট দীর্ঘ হচ্ছে।

আব্বাস ভূঁইয়া নামে এক যাত্রী বলেন, ‘রূপসী থেকে রাজধানী পপুলার হাসপাতালে বাবাকে নিয়ে ডাক্তার দেখাতে বের হয়েছি। দেড় ঘণ্টায় এক কিলোমিটারও এগোতে পারিনি। জ্যামেই বসে আছি।’

বাসচালক আবুল হোসেন বলেন, ‘একদিকে রাস্তায় খানাখন্দ আবার মহাসড়কের উন্নয়ন কাজ চলার কারণে যানজট প্রতিদিন লেগে থাকে। খানাখন্দে গাড়ির যন্ত্রাংশ নষ্ট হচ্ছে। অনেক চালকরা আগে যাওয়ার জন্য একাধিক লাইন করে। ট্র্যাফিক পুলিশের কার্যক্রম তেমন দেখি না। গাড়ির জমা দিয়ে সংসার চালানোর উপক্রম নেই।’

আব্দুল হক নামে এক অ্যাম্বুলেন্সচালক বলেন, ‘জরুরি প্রয়োজনে মুমূর্ষু রোগীদের ঢাকা নিতে হলে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ব্যবহার করতে হয়। যানজটের কারণে মুমূর্ষু রোগী নিয়ে যেতে দেরি হয়ে যায় প্রায় সময়।’

যাত্রী শামীমা বেগম নামের এক যাত্রী বলেন, ‘বরপা থেকে কাচপুর যেতে সময় লাগে ১০ মিনিট কিন্তু দেড় ঘণ্টায়ও পৌঁছাতে পারিনি। প্রতিনিয়ত এ ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে যানজট লেগে থাকে। এ যানজটের কারণে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি।’

এ ব্যাপারে শিমরাইল হাইওয়ে পুলিশ পরিদর্শক জুলহাস উদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক উন্নীতকরণ কাজের জন্য রাস্তা অনেকাংশে শুরু হয়ে গেছে। তার ওপর আবার অতিবৃষ্টির কারণে খানাখন্দে রাস্তার বেহাল অবস্থা। আবার আগে যাওয়ার জন্য নিয়ম ভঙ্গ করে গাড়ি চালকদের বিপরীত রুটে গাড়ি ঢুকিয়ে একাধিক লাইন করার কারণে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। আমাদের হাইওয়ে পুলিশের জনবল ও ঘাটতি রয়েছে। তাই সড়কে যানবাহনের দীর্ঘ সারি সামলাতে বেগ পেতে হচ্ছে।

নাজমুল হুদা/আরএইচ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।