স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মীসভা পণ্ড করে ফটকে তালা দিলেন পদবঞ্চিতরা
মৌলভীবাজারের রাজনগরে স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মীসভা পদবঞ্চিত নেতাকর্মীদের বাধার মুখে পণ্ড হয়ে গেছে। শুক্রবার (২৯ আগস্ট) বিকেলে রাজনগর উপজেলার সাইফুর রহমান অডিটরিয়ামে আয়োজিত সভার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল দলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ডা. মো. জাহেদুল কবির জাহিদের। কিন্তু সভা শুরুর আগেই বঞ্চিত নেতাকর্মীরা অডিটরিয়ামের মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন ও বাইরে অবস্থান নিয়ে নানা স্লোগান দিতে থাকেন।
এ ঘটনায় অডিটরিয়াম এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। মৌলভীবাজার সদর সার্কেলের এএসপি আবুল খায়ের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
রাজনগর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের ৩১ সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ২০২১ সালে গঠিত হয়। এতে আহ্বায়ক ছিলেন সুলতান আহমদ সুনু ও সদস্যসচিব সুমন দেব। তবে দীর্ঘদিন দলীয় কার্যক্রমে নিষ্ক্রিয় থাকার অভিযোগে গত ৯ আগস্ট জেলা আহ্বায়ক আহমেদ আহাদের স্বাক্ষরে তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়।
পরে জেলা কমিটির নির্দেশে যুগ্ম-আহ্বায়ক কাউসার আহমদ তালুকদারের নেতৃত্বে নতুন করে কর্মীসভার আয়োজন করা হয়। কিন্তু অব্যাহতি পাওয়া আহ্বায়ক সুলতান আহমদ ও তার অনুসারীরা অভিযোগ করেন তাদের অন্যায়ভাবে বাদ দেওয়া হয়েছে। এর প্রতিবাদেই তারা অডিটরিয়ামে তালা ঝুলিয়ে দেন।

অব্যাহতিপ্রাপ্ত আহ্বায়ক সুলতান আহমদ সুনু বলেন, আমাকে কোনো অব্যাহতিপত্র দেওয়া হয়নি। শুনেছি ফেসবুকে মানুষ দেখেছে। সম্পূর্ণ নিয়মবহির্ভূতভাবে এই চিঠি লেখা হয়েছে। আমরা এমপি এম নাসের রহমানের লোক বলে আমাদের অন্যায়ভাবে বাদ দেওয়া হয়েছে। এটা আমরা মানি না।
নেতাকর্মীরা অভিযোগ করে বলেন, দলের দুর্দিনে যারা রাজপথে ছিলেন, তাদের বাদ দিয়েই কর্মীসভার আয়োজন করা হয়েছে। আহ্বায়ক ও বঞ্চিত নেতাদের না ডেকে শুধু এক পক্ষকে নিয়ে কর্মীসভা করলে আমরা মেনে নেব কেন?
রাজনগর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম-আহ্বায়ক কাউসার আহমদ তালুকদার বলেন, সবাইকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। এমনকি অব্যাহতি পাওয়া আহ্বায়ক সুনুকেও ফোনে যোগাযোগ করা হয়েছিল, কিন্তু তিনি সাড়া দেননি। আমরা সংঘাত চাই না।
রাজনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোবারক হোসেন খান বলেন, এক পক্ষের ডাকা কর্মীসভায় অন্য পক্ষ বাধা দিয়েছিল। পরে উভয়পক্ষ কথা বলেছে। তারা গোবিন্দবাটিতে কর্মীসভা করবে বলে চলে গেছে। তেমন কিছু হয়নি। পরিস্থিতি শান্ত আছে।
ওমর ফারুক নাঈম/এমএন/এমএস