কক্সবাজারে সৈকতের ঝাউগাছে মিললো সংবাদকর্মীর ঝুলন্ত মরদেহ
কক্সবাজার শহরের সৈকতের শৈবাল পয়েন্টে এক সংবাদকর্মীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার দিকে সৈকতের গলফ মাঠ সংলগ্ন ঝাউবাগানের ভেতরে মরদেহটি দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মরদেহের ছবি ছড়িয়ে পড়লে মরদেহ শনাক্ত করা হয়।
নিহত যুবক মোহাম্মদ নুরুল আমিন (২৫) উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের বালুখালী ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৃত জুনু মিয়ার ছেলে। তিনি ‘দৈনিক আমার প্রাণের বাংলাদেশ’ নামে একটি জাতীয় পত্রিকার উখিয়া উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইলিয়াস খান তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে রশিতে ঝুলন্ত মরদেহটি উদ্ধার করেছে। প্রাথমিক সুরতহাল শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এটি সুইসাইড বলেই মনে হচ্ছে। তার পকেটে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটের একটি বাসের টিকিট পাওয়া গেছে। টিকিটে চট্টগ্রাম থেকে যাত্রার সময় ৩ সেপ্টেম্বর রাত ৯টা ২০ মিনিট উল্লেখ ছিল।
আরও পড়ুন-
- ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত
- মৌসুমের শেষ সময়ে প্রস্তুত হচ্ছে নোনা ইলিশ
- ময়মনসিংহে সবজির দামে হাত পুড়ছে ক্রেতাদের
এদিকে আমিনের এই মৃত্যুকে রহস্যজনক উল্লেখ করে তার বেশ কয়েকজন সাংবাদিক সহকর্মী ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
উখিয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও কক্সবাজার রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি রাসেল চৌধুরী তার ফেসবুকে লিখেছেন, ‘রাতে মারছা গাড়িতে চড়ে কক্সবাজার পৌঁছে সকালে সৈকতের ঝাউগাছে ঝুলছে বালুখালীর মৃত জুনু মিয়ার সন্তান নুরুল আমিনের নিথর দেহ! আমিন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে চাকরি করতেন। পাশাপাশি লেখালেখি করতেন এবং সমসাময়িক বিষয় নিয়ে ফেসবুকে এক্টিভ থাকতেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। ছিলেন প্রতিবাদী স্বভাবের। মানুষের বিপদে-আপদে ঝাঁপিয়ে পড়তেন। স্থানীয়ভাবে তার সঙ্গে কারও বড় কোনো ঝামেলা বা শত্রুতা ছিল, এমন তথ্য জানা যায়নি। তবে অপর একটি সূত্র জানিয়েছে, ইয়াবা কারবারিদের বিরুদ্ধে রিপোর্ট করায় কিছু দুর্বৃত্ত তার ওপর ক্ষিপ্ত ছিল। নুরুল আমিন একটি ভিডিও বার্তায় তার জীবন নিয়ে শংকার কথা বলে গেছেন। তার লাইভ ভিডিও বার্তার সূত্র ধরে অপরাধীদের চিহ্নিত করা সহজ হবে। আমিনের মৃত্যু রহস্য উদঘাটন এবং খুনি চক্রের মূলোৎপাটন করে পর্যটন শহরকে নিরাপদ রাখার দাবী জানাচ্ছি।’
সায়ীদ আলমগীর/এফএ/এমএস