সন্তানের কিডনি রোগ নিয়ে অথই সাগরে প্রতিবন্ধী মা-বাবা

উপজেলা প্রতিনিধি উপজেলা প্রতিনিধি বেনাপোল (যশোর)
প্রকাশিত: ১১:০২ এএম, ১২ নভেম্বর ২০২৫

জটিল কিডনি রোগে আক্রান্ত তিন বছর বয়সি সন্তানের চিকিৎসায় সর্বস্ব দিয়েও কূল-কিনারা করতে পারছেন না প্রতিবন্ধী মা-বাবা। স্থানীয়দের থেকে চাঁদা তুলে কিছুটা চিকিৎসা করালেও তা আর চালিয়ে যেতে না পেরে অথই সাগরে পড়েছেন এই দম্পতি। সন্তানের চিকিৎসায় সহযোগিতার আবেদন করেছেন তারা।

এ গল্প যশোরের শার্শার আব্দুর রাজ্জাক-শেফালী খাতুন দম্পতি ও তাদের ছেলে আব্দুর রহমানের। উপজেলার গোগা ইউনিয়নের হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামের বাসিন্দা তারা। আব্দুর রাজ্জাক (৪০) ওই এলাকার মৃত সৈয়দ আলীর ছেলে। তিনি দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, ডান চোখে কিছুই দেখেন না। বাম চোখে অল্প অল্প দেখতে পান। তার স্ত্রী শেফালী খাতুন (৩২) বাকপ্রতিবন্ধী। তার আল জিহ্বা ছোট। স্পষ্টভাবে কথা বলতে পারেন না। তাদের ছোট ছেলে আব্দুর রহমান।

পরিবার সূত্রে যায়, শিশু আব্দুর রহমান কিডনি রোগে আক্রান্ত। তার শরীরে প্রথমে জ্বর আসে। এর পর থেকে তার পেটের বাম পাশে যন্ত্রণা শুরু হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর আব্দুর রহমানের কিডনি সমস্যা ধরা পড়ে। তার বাম ও ডান কিডনিতে পাথর রয়েছে। চিকিৎসা চললেও যন্ত্রণা কমছে না। চিকিৎসকরা বলেছেন, অপারেশন ছাড়া ওষুধে পাথর নির্মূল সম্ভব নয়। অপারেশন করতে ৭০-৮০ হাজার টাকা প্রয়োজন।

আব্দুর রাজ্জাক জানান, এ পর্যন্ত গ্রামে ও গোগা বাজারে চাঁদা তুলে চিকিৎসা করা হয়েছে। এখন তার হাতে আর একটি টাকাও নেই। দেড়কাঠা মাত্র ভিটে বাড়ি। বিক্রি করলে পথে বসতে হবে রাজ্জাকের। আবার অতি আদরের সন্তানটিকেও বাঁচাতে হবে। তিনি এখন দিশাহারা।

তিনি আরও জানান, ২০১৯ সালে তার স্ত্রী শেফালী খাতুনও কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। সে সময়ও অপারেশন করতে অনেক টাকা খরচ হয়েছিল। যে কারণে রাজ্জাক একেবারেই নিঃস্ব এখন। তাই সন্তানকে বাঁচাতে আকুতি জানিয়েছেন সবার কাছে।

মো. জামাল হোসেন/এমএন/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।