রায়পুরায় টেঁটাযুদ্ধে নিহত ৪
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নরসিংদীর রায়পুরার চরাঞ্চল নীলক্ষায় দুই দল গ্রামবাসীর মধ্যে টেঁটাযুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় চারজন নিহত হয়েছেন। সেই সঙ্গে পুলিশ ও দুই দল গ্রামবাসীর ত্রিমুখী সংঘর্ষে রায়পুরা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, তিন এসআই ও দুই কনস্টেবলসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন আমিরাবাদ গ্রামের মৃত আলতু মিয়ার ছেলে মানিক মিয়া (৫৫), সোনাকান্দি গ্রামের মরফত আলীর ছেলে খোকন মিয়া (৩৫), একই গ্রামের মঙ্গল মিয়ার ছেলে মামুন (২৩) ও সালামত মিয়ার ছেলে শাহজাহান (৪০)। নিহতরা সবাই সাবেক চেয়ারম্যান হক সরকারের সমর্থক বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। 
সোমবার দুপুরে জেলার রায়পুরা উপজেলার নিলক্ষায় এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহতাবস্থায় ওসি আজাহারকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় ১৩ জনকে আটক করা হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হক ও বর্তমান চেয়ারম্যান তাজুল সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এরই জেরে সোমবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সকালে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চেষ্টা চালায়। এ সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এতে পুলিশের ওপর ককটেল ও টেঁটা নিক্ষেপ করে হামলা চালায় গ্রামবাসী।20161114175850.jpg)
হামলায় রায়পুরা থানা পুলিশের ওসি আজহার উদ্দিন, টেঁটার আঘাতে তিনজন এসআই ও দুজন কনস্টেবলসহ অন্তত ৩০ জন আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাসিবুল আলম বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়ান। পুলিশ বাধা দিলে তারা পুলিশের উপর হামলা চালায়। পরস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে ১৩ জনকে। এসব ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
পুলিশ সুপার আমেনা বেগম বলেন, সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছেন। এদর মধ্যে একজনের মরদেহ আমরা পেয়েছি। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সঞ্জিত সাহা/এএম/এবিএস