যতদূর চোখ যায় মানুষ আর মানুষ
তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে আর কিচ্ছুক্ষণ পরেই। জানাজা উপলক্ষে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ ও আশপাশের এলাকায় তিল ধারণের ঠাঁই নেই। যতদূর চোখ যায় মানুষ আর মানুষ।
জানাজা উপলক্ষে বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) ভোর থেকেই মানুষ আসতে শুরু করে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে।মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ বলছে, মেট্রোরেলে রেকর্ড সংখ্যক মানুষ যাতায়াত করছে জানাজায় অংশগ্রহণের জন্য।
বেলা ১টার দিকে সরেজমিনে রাজধানীর শেওড়াপাড়া, আগারগাঁও, বিজয় সরণি, খামারবাড়ি, খেজুরবাগান, ফার্মগেট, আড়ং মোড়, ধানমন্ডি ২৭ ও কারওয়ান বাজার এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, লাখ লাখ মানুষের উপস্থিতি। দূর দূরান্ত থেকে মানুষ পায়ে হেঁটে আসছে জানাজায় অংশগ্রহণের জন্য। মানুষের চোখে-মুখে একজন আপসহীন দেশনেত্রীকে হারানোর বেদনা।
সিরাজগঞ্জ থেকে পাঁচ বছরের শিশু সন্তানকে নিয়ে জানাজায় এসেছেন রিয়াজুল বাশার। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, প্রিয় নেত্রীর জানাজায় অংশ নেওয়ার জন্য ভোরে সিরাজগঞ্জ থেকে বাসে রওনা করি। গাবতলী থেকে শ্যামলী পর্যন্ত বাসে আসি। এরপর শ্যামলী থেকে ছেলেকে নিয়ে পায়ে হেঁটে জানাজায় আসতে পেরেছি।
তিনি বলেন, কষ্ট হলেও নেত্রীর জানাজায় অংশ নিতে পারছি, এটিই আমার অনেক বড় পাওয়া।
বরিশাল থেকে এসেছেন ষাটোর্ধ বয়সী আব্দুল আহাদ মিয়া। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে তরুণ বয়সে একবার দেখা হয়েছিল। তিনি অত্যন্ত স্নেহ করতেন আমাকে। আমি জানাজায় অংশ নিতে গতকাল রাতেই বরিশাল থেকে মেয়ের মিরপুরের বাসায় আসি। এরপর আজ ফজরের নামাজ পরে এখানে এসেছি। এতো মানুষ আমার জীবনে আর কোনো জানাজায় দেখিনি।
জানাজা উপলক্ষে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পুলিশের পাশাপাশি এপিবিএন, র্যাব, বিজিবি ও সেনাবাহিনী মোতায়েন থাকবে। সার্বিক নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১০ হাজারের বেশি সদস্য মোতায়েন থাকবে।
টিটি/এমএমকে/এএসএম