কক্সবাজারে তাবলিগ-ফেরত আরও একজন করোনা পজিটিভ
কক্সবাজারে তাবলিগ-ফেরত আরও এক ব্যক্তির করোনা ‘পজিটিভ’ রিপোর্ট মিলেছে। বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) পরীক্ষা করা ৫৩ নমুনার মধ্যে ৫২ জনের ফলাফল নেগেটিভ এলেও টেকনাফের হোয়াইক্যং এলাকার এক ব্যক্তির করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। তিনি তাবলিগ জামায়াতে দীর্ঘদিন দেশের বিভিন্ন এলাকায় সময় কাটিয়ে সপ্তাহ খানেক আগে এলাকায় ফেরেন।
কয়েকদিন আগে অসুস্থবোধ করলে চিকিৎসা নিতে গিয়ে তার বাইরে থেকে আসার তথ্যটি প্রচার পায়। এরপরই তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। সেখানে অন্য নমুনার সঙ্গে পরীক্ষায় তার রিপোর্টটি পজিটিভ আসে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
এর আগে ১৯ এপ্রিল একদিনেই চারজনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। তাদের মাঝে একজন টেকনাফের, বাকি তিনজন মহেশখালীর। তারা সবাই নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা-ফেরত ছিলেন।
গতকাল বুধবার (২২ এপ্রিল) আরও এক করোনা পজিটিভ রোগী শনাক্ত হন। কক্সবাজার শহরের মাছ ব্যবসায়ী ওই বাসিন্দাও নারায়ণগঞ্জ-ফেরত। ফলে নারায়ণগঞ্জকে দেশের সবচেয়ে করোনা-প্রবণ এলাকা হিসেবে বিবেচনা করছেন স্থানীয় সচেতন মহল।
দেশে করোনার প্রাদুর্ভাবের পর থেকে কক্সবাজার জেলায় এনিয়ে সাতজনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। তাদের একজন ওমরাহ-ফেরত, বাকি ছয়জনই ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ-ফেরত।
করোনা পজিটিভের মাঝে প্রথম শনাক্ত নারীর বাড়ি চকরিয়ায়। পরেরজন নাইক্যংছড়ির ঘুমধুম, তিনজনের মহেশখালী, দুজন টেকনাফ এবং আরেকজনের বাড়ি কক্সবাজার শহরের টেকপাড়ায়।
কক্সবাজার মেডিকেল কলেজে ল্যাব চালু হওয়ার ২৩ দিনে ৬১৪ সন্দেহভাজন রোগীর করোনা পরীক্ষা হয়েছে। যাদের মধ্যে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সাতজনের রিপোর্ট পজিটিভ পাওয়া গেল।
কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের ক্লিনিক্যাল ট্রপিক্যাল মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. শাহজাহান নাজির বলেন, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে বৃহস্পতিবারও (২৩ এপ্রিল) ৫৩ সন্দেহভাজন রোগীর করোনাভাইরাসের নমুনা টেস্ট করা হয়। তাদের মধ্যে টেকনাফের এক বাসিন্দার করোনা পজিটিভ এসেছে। বাকি সব রিপোর্টই নেগেটিভ।
কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. অনুপম বড়ুয়া বলেন, বুধবার (২২ এপ্রিল) কক্সবাজার সদর হাসপাতাল, রোহিঙ্গা ক্যাম্পসহ জেলার আশপাশ এলাকা থেকে ৫৩ জনের নমুনা ল্যাবে আসে। বৃহস্পতিবার সব পরীক্ষার পর ৫২ জনের নেগেটিভ রিপোর্ট এলেও বাকি একজনের করোনা পজিটিভ এসেছে। সকল পরীক্ষার নমুনার প্রতিবেদন ঢাকায় আইইডিসিআরে পাঠানো হয়েছে। ওখান থেকেই আনুষ্ঠানিকভাবে রিপোর্ট প্রকাশ করা হবে বলেও জানান তিনি।
সায়ীদ আলমগীর/এমএআর/পিআর