খুলনার চার হাসপাতালে ১৪ জনের মৃত্যু
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় খুলনার চারটি হাসপাতালে আরও ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার (২৫ জুলাই) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে সোমবার (২৬ জুলাই) সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।
তাদের মধ্যে খুলনা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে আক্রান্ত হয়ে চারজন ও উপসর্গে চারজন, শহীদ শেখ আবু নাসের হাসপাতালের করোনা ইউনিটে তিনজন, খুলনা জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে একজন, বেসরকারি সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে দুজন মারা যান।
খুলনা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের ফোকাল পার্সন ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় আট জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে চারজন উপসর্গে। করোনায় মৃতরা হলেন- নগরীর রায়পাড়া এলাকার ফজলুর রহমান (৭০), টুটপাড়ার সাহিদা বেগম (৬২), ঝিনাইদহের কোটচাদপুরের বজলুল (৬৫) ও একই এলাকার পাশপাতিয়া এলাকার আ. রহমান (৪৬)। এ হাসপাতালটিতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১০৯ জন। যার মধ্যে রেড জোনে ৪২ জন, ইয়ালো জোনে ৩৪ জন, আইসিইউতে ২০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ১০ জন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৬ জন।
খুলনার শহীদ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা. প্রকাশ দেবনাথ জানিয়েছেন, গত ২৪ ঘণ্টায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন- খুলনার দৌলতপুরের পাবলা এলাকার তাহমিনা বেগম (৮৪), বাগেরহাট ফকিরহাটের গাউস শেখ (৬৫) ও নড়াইল কালিয়ার কলাগাতী এলাকার নয়ন ঘোষ (৩৫)। হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি রয়েছেন ৩৬ জন। তার মধ্যে আইসিইউতে রয়েছে ১০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় কোনো রোগী ভর্তি হয়নি। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন দুইজন।
খুলনা জেনারেল হাসপাতালের ৮০ শয্যার করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা. কাজী আবু রাশেদ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে একজন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। মৃত ব্যক্তি হলেন- নগরীর হাজী মহসিন রোডের আবুল বাশার ফারাজী (৫৫)। এখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৩৩ জন, তার মধ্যে ১৭ জন পুরুষ ও ১৬ জন নারী। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন তিনজন, আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন চারজন।
সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে গত ২৪ ঘণ্টায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতরা হলেন- খুলনার ১৭৮, বাগমারা মেইন রোডের শিখা রানী রায় (৫৫) ও ডুমুরিয়ার থুকড়া শাহপুরের আফিয়া খানম (৩৫)। বেসরকারি এ হাসপাতালটির ৯০ শয্যার করোনা ইউনিটে ৬৯ জন ভর্তি রয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ১৩ জন আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১১ জন। আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন সাতজন।
এদিকে রোববার খুমেক আরটি-পিসিআর ল্যাবে ৩৭৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়, যার মধ্যে খুলনার ৩৪০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে ১১৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে খুলনার ১১২ জন, মাদারীপুরের ও দিনাজপুরের একজন করে করোনা রোগী শনাক্ত হয়।
আলমগীর হান্নান/ইএ/জেআইএম