সাভার টিকাকেন্দ্রে জনস্রোত, হতাশ হয়ে ফিরে গেছেন অনেকে
সাভারে করোনা টিকা নিতে এসে আজও হড্ডগোল হয়েছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও নিরাশ হয়ে ফিরেছেন অনেকে। শৃঙ্খলা ফেরাতে শতকর্মী কাজ করলেও কোনো ফল দেয়নি। বরং বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে টিকাপ্রত্যাশীদের দীর্ঘলাইন। অব্যবস্থাপনা আর টিকাপ্রত্যাশীদের বাড়তি চাপই এমন ভোগান্তির কারণ বলছেন উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সাভার উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পাশে নবনির্মিতি নার্সিং ট্রেইনিং ইনস্টিটিউট টিকা কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, টিকাপ্রত্যাশীদের উপচে পড়া ভিড়। প্রচণ্ড রোদকে উপেক্ষা করে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। একদিকে অতিরিক্ত মানুষের চাপ, অন্যদিকে রোদের তাপে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। কেউ কেউ লাইন থেকে সরে গিয়ে আশ্রয় নেন গাছের ছায়ায়।
সাভার নামা বাজার এলাকা থেকে টিকা নিতে আসা আওলাদ হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে জাগো নিউজকে বলেন, ‘এভাবে যুদ্ধ করে বিশ্বের কোথাও কী সেবা দেওয়া হয়? ভোর ৬টায় আসছি। এখন ১টা বাজে টিকা, কিন্তু টিকা পাওয়ার কোনো লক্ষণ নেই। ধাক্কাধাক্কি চলছে। একদিক থেকে ভলান্টিয়ারদের ধাক্কা, অন্যদিকে মানুষ। খুব কষ্ট হচ্ছে।’
শাহানাজ বেগম নামের একজন বলেন, ‘২৬ তারিখ (২৬ ফেব্রুয়ারি) নাকি প্রথম ডোজ শেষ। এরপর কোথায় পাবো? তাই কষ্ট হলেও নিয়ে নিচ্ছি। তিনবার লাইন ধরে সামনে গিয়েছিলাম। কিন্তু কোথা থেকে যেন হঠাৎ ধাক্কা আসে আবার পেছনে চলে যায়। আল্লাহ জানেন টিকা নিতে পারবো কি না।’
টিকা নিতে না পেরে হতাশ হয়ে ফিরে যান বিভিন্ন পেশার নারী-পুরুষ। শাহানাজের মতো তাদেরও যুক্তি ২৬ তারিখের পর মিলছে না প্রথম ডোজ। তাই প্রথম ডোজ দিতেই তাদের এমন হুড়োহুড়ি।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান ডা. সায়েমুল হুদা জাগো নিউজকে বলেন, মানুষ যখন শুনেছেন ২৬ তারিখের পর প্রথম ডোজ দেওয়া হবে না, তখনই হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন। যা মাত্রাতিরিক্ত।
তিনি বলেন, ‘২৬ তারিখের পরও সাভারে প্রথম ডোজের টিকা পাওয়া যাবে। ঢাকা অফিস বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।’
মাহফুজুর রহমান নিপু/এসআর/জিকেএস