মিরসরাইয়ের মুহুরী প্রজেক্টে মানুষের ঢল

জাগো নিউজ ডেস্ক
জাগো নিউজ ডেস্ক জাগো নিউজ ডেস্ক মিরসরাই (চট্টগ্রাম)
প্রকাশিত: ০৯:২৯ এএম, ১২ জুলাই ২০২২
ব্রিজের ওপর থেকে খুলে দেওয়া গেট দেখছেন ঘুরতে আসা মানুষ

ঈদের ছুটিতে দর্শনার্থীতে মুখরিত চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের মুহুরী প্রজেক্ট এলাকা। মুহুরী নদীর বিশেষ আকর্ষণ স্লুইচগেট দেখতে ঈদের দিন থেকে ভিড় করছেন হাজারো মানুষ। কেউ ছবি তুলছেন আবার কেউ সবুজ ঘাসে বসে আড্ডা দিচ্ছেন। কেউবা নদীর বুকে চষে বেড়াচ্ছেন নৌকায়।

মিরসরাইয়ের মুহুরী প্রজেক্টে মানুষের ঢল

সোমবার (১১ জুলাই) মুহুরী প্রজেক্ট এলাকা ঘুরে দেখা যায়, পর্যটনকেন্দ্রটি মাঝামাঝি হওয়ায় মিরসরাই ও ফেনীর সোনাগাজী উপজেলা থেকে ঘুরতে আসছেন মানুষ। মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকারযোগে আসেন ভ্রমণপিপাসুরা। ফলে স্লুইচগেটের ব্রিজের ওপর দর্শনার্থী ও গাড়ির কিছুটা জট লেগে যায়।

মিরসরাই উপজেলার ২০০২ ব্যাচের ছাত্রদের নিয়ে একটি সংগঠন ‘বন্ধুত্বের বন্ধন ২০০২ ব্যাচ’। ঈদের ছুটিতে সবার সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য চলেন আসেন মুহুরী প্রজেক্টে এলাকায়। তাদের একজন সরোয়ার জাহেদ বলেন, ‘প্রতিবছর পুনর্মিলনী করি। এবার আমাদের পছন্দের জায়গা মুহুরী প্রজেক্ট। আমরা নিজেরাই অনেক আনন্দ করেছি। পাশাপাশি হাজারো মানুষ দেখে সবাই বিমোহিত।’

মিরসরাইয়ের মুহুরী প্রজেক্টে মানুষের ঢল

উপজেলার তেতৈয়া এলাকা থেকে স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে ঘুরতে আসেন বেসরকারি একটি কোম্পানির ম্যানেজার রতন কুমার নাথ। তিনি বলেন, ‘অনেক মানুষের সমাগম হয়েছে। ফলে ব্রিজের ওপর মানুষ ও গাড়ির কিছুটা জটলা সৃষ্টি হয়েছে। বেশি মানুষ থাকলে বেশি আনন্দ। আমার স্ত্রী-সন্তানরাও অনেক আনন্দ পেয়েছে।’

মিরসরাইয়ের মুহুরী প্রজেক্টে মানুষের ঢল

স্লুইচগেটের পাশে ফুচকা বিক্রেতা মো. মতিন বলেন, ‘প্রচুর মানুষ এখানে এসেছেন। আরও কয়েকদিন এখানে অনেক লোকের সমাগম হবে। সকাল থেকে আমি ১০ হাজার টাকার ফুচকা ও চটপটি বিক্রি করেছি।’

মিরসরাইয়ের মুহুরী প্রজেক্টে মানুষের ঢল

স্লুইচগেটে দায়িত্বরত আনসার সদস্য মো. আব্দুর রশিদ জাগো নিউজকে বলেন, ঈদের ১৫ দিন পর্যন্ত এখানে অনেক ভিড় থাকে। আজকে প্রচুর পর্যটক এসেছে। এমন ভিড় আগে দেখা যায়নি।

এসজে/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।