রাজবাড়ীতে বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ, অনুন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি রাজবাড়ী
প্রকাশিত: ১২:২০ পিএম, ১১ জুলাই ২০২৩

সারাদেশের মতো রাজবাড়ীর হাসপাতালগুলোতেও বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী সংখ্যা। তবে রোগী বাড়লেও উন্নতি হয়নি চিকিৎসা ব্যবস্থার।

জেলায় রোগীর অবস্থা খারাপ হলে ফরিদপুর বা ঢাকায় স্থানান্তর করা হচ্ছে। সাধারণ রোগীদের সঙ্গেই চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে ডেঙ্গু আক্রান্তদের। খোলা হয়নি আলাদা কোনো ডেঙ্গু ওয়ার্ড। ফলে অন্যান্যদের মধ্যে বিরাজ করছে আতঙ্ক। এছাড়া হাসপাতাল কম্পাউন্ডার ভেতরেই দেখা মিলছে ডাবের খোসা ও নোংরা ড্রেনেজ ব্যবস্থা। যা থেকে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ।

আরও পড়ুন: খুলনা মেডিকেলে একদিনে ভর্তি ১০ ডেঙ্গু রোগী

অন্যদিকে শহর পরিষ্কার পরিছন্ন ও ডেঙ্গু মশা নিধনে জনপ্রতিনিধিদের সচেতনতামূলক কার্যক্রমের পাশাপাশি সবাইকে সচেতন হবার পরামর্শ দিয়েছেন সিভিল সার্জন।

রাজবাড়ীর সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি মাসে রাজবাড়ীতে ২৬ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। জেলার ৫ উপজেলায় ডেঙ্গু রোগী রয়েছে। এরমধ্যে রাজবাড়ী সদরে ১৬ জন, পাংশায় দুইজন, বালিয়াকান্দিতে একজন, কালুখালীতে তিনজন ও গোয়ালন্দে চারজন। এছাড়া অনেকে বাড়ীতেও চিকিৎসা নিচ্ছেন। প্রথম অবস্থায় ঢাকা থেকে আসা আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেলেও এখন রাজবাড়ী থেকেই আক্রান্ত রোগী পাওয়া যাচ্ছে।

রাজবাড়ীতে বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ, অনুন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা

রোগী গোবিন্দ কুমার সাহা বলেন, দোকানে কাজ করার সময় মশা কামড়েছে। এরপর জ্বর হলে নাপা খেয়েছি। তবে জ্বর আরও বেড়ে যায়। পরদিন সদর হাসপাতালে এসে চিকিৎসকের পরামর্শে পরীক্ষা করালে ডেঙ্গু ধরা পরে। শুক্রবার হাসপাতালে ভর্তি হলেও অবস্থার উন্নতি হয়নি। রক্তের প্লাটিলেট কমে এখন এক লাখের নিচে নেমে এসেছে। এ অবস্থায় আমি ঢাকায় চিকিৎসা নিতে যাবো।

আরও পড়ুন: রাজশাহীতে জমি নিয়ে সংঘর্ষে আরও একজন নিহত

রাজবাড়ীর সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইব্রাহিম টিটোন বলেন, জেলায় প্রথম ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগী আসে ঢাকা থেকে। এখন স্থানীয় ভাবেই কিছু আক্রান্ত রোগী পাওয়া যাচ্ছে, যাদের ঢাকায় যাবার কোন রেকর্ড নাই। এরমাধ্যমে বোঝা যায় রাজবাড়ী থেকেও মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছে। ডেঙ্গুর জন্য হাসপাতাল ও চিকিৎসকরা প্রস্তুত রয়েছেন। পর্যাপ্ত চিকিৎসা ব্যবস্থা রয়েছে। তবে আইসিইউ সাপোর্ট রাজবাড়ীতে নেই। জেলা শহরের পাশাপাশি এখন উপজেলাও ডেঙ্গু রোগী পাওয়া যাচ্ছে। গত মাসের তুলনায় চলতি মাসে রোগীর সংখ্যা বেশি। এডিস মশা নিধনে সবাই সচেতন না হলে ডেঙ্গুর প্রকোপ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব না।

রুবেলুর রহমান/জেএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।