‘কত বাড়লো ভাই’
রোববার সকাল পৌনে নয়টা। সচিবালয়ের প্রবেশ পথে কর্তব্যরত আইনশৃংখলা বাহিনীর একটি পরিচিত মুখ। হাসতে হাসতে বললেন, কী পে কমিশনের প্রতিবেদন নিয়ে ব্রিফিং কাভার করতে যাচ্ছেন। বললাম, হ্যাঁ।
পে কমিশনের নতুন বেতন কাঠামো নিয়ে সব শ্রেণি পেশার মানুষেরই রয়েছে বিশেষ আগ্রহ। আর সেই আগ্রহের আরেকটি প্রকাশ মেলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে। পুরো সম্মেলন কক্ষ ভর্তি। তিল ধারণের ঠাই নেই। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের সাংবাদিকরা সকালেই হাজির। বেশির ভাগ সংবাদ মাধ্যম থেকে একাধিক প্রতিবেদক এসেছেন কাভার করতে। তবে কি শুধু সংবাদ মাধ্যমের লোকে ভরে গেছে সম্মেলন কক্ষ।
একটু অনুসন্ধানী চোখেই মেলে তার উত্তর। অর্থমন্ত্রীর দপ্তর ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনেকেই ঢুকে গেছেন সেখানে। ভিড় করেছেন আশে পাশের অন্য মন্ত্রণালয়ের কিছু কর্মচারিও।
একটু খেয়াল করতেই চোখে পড়ে, অর্থমন্ত্রণালয়ের একজন কর্মচারি কতটা মনোযোগ দিয়ে শুনছিলেন, পে কমিশনের চেয়ারম্যান ফরাসউদ্দিনের কথা।
সংবাদ সম্মেলন শেষে বের হতেই, একজন জানতে চাইলেন, ভাই ৮ হাজার ২শ টাকাই থাকল, নাকি আরো কিছুটা বাড়লো। পেনশন নিয়ে কি বলা হয়েছে, একটু বলেন না। তার যেন দেরি সইছিলো না। তখনই শুনতে হবে।
কর্মকর্তাদের আগ্রহের আরেকটি প্রকাশ মিলল সংবাদ সম্মেলনে। সেটিও আবার খোদ অর্থ সচিবের কথায়। তিনি উপস্থিত সংবাদ সম্মেলনে বারবার বলছিলেন, অর্থ কোন সমস্যা নয়। এটি বাস্তবায়নের অর্থ বর্তমান বাজেটে আছে। উপস্থিত একজন সাংবাদিক বার বার জানতে চাচ্ছিলেন, কিভাবে এটি বলছেন? বর্তমান বাজেটে কিভাবে অর্থ আছে। এটিতো কার্যকর হবে ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে। কিন্তু কে শুনে কার কথা। তিনি বলেই যাচ্ছেন, অর্থ বরাদ্ধ আছে।
সচিবালয়ের লিফটেও এক কর্মকর্তা বললেন, বেশি যদি বাড়ে একটি দেরিতে বাড়লেও সমস্যা নেই। বিষয়টি নিয়ে শুধু সচিবালয় নয়, সচিবালয়ের বাইরে আলোচনা শোনা গেলো বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের মুখেও। তারাও খুশি। তবে সঙ্গে তাদের আলাদা বেতন কাঠামোও শিগগিরই সরকার চূড়ান্ত করবে বলে তাদের দাবি।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা জানান, আমরা চাই এটি কার্যকর হোক। তবে সরকার আমাদের আলাদা বেতন কাঠামোও দিবে বলে আশায় আছি।