ষষ্ঠ-সপ্তম শ্রেণিতে পিরিয়ড কমলেও বাড়ছে ক্লাসের সময়

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১০:০০ পিএম, ০১ মে ২০২৩
ফাইল ছবি

চলতি বছর থেকে নতুন শিক্ষাক্রমে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে একটি পিরিয়ড কমানো হয়েছে। বছরের শুরু থেকে এ দুই শ্রেণিতে সাত পিরিয়ড ক্লাস হলেও এখন থেকে ক্লাস হবে ছয় পিরিয়ড। কিন্তু পিরিয়ড কমানো হলেও স্কুল ছুটির সময় একই থাকছে। ফলে এই দুই শ্রেণিতে একটি করে পিরিয়ড কমলেও বাড়ছে ক্লাসের দৈর্ঘ্য।

স্কুলে সাধারণত প্রতিটি পিরিয়ড হয় ৪০ থেকে ৪৫ মিনিট। তবে এখন থেকে এক শিফটের স্কুলে ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণিতে ক্লাস হবে ৫০ মিনিট, আর দুই শিফটের স্কুলে প্রতি পিরিয়ড হবে ৪৫ মিনিট। তবে রোল কলের কারণে এক শিফটের স্কুলে প্রথম পিরিয়ড হবে ৬০ মিনিট ও দুই শিফটের স্কুলে প্রথম পিরিয়ড হবে ৫০ মিনিট।

নতুন শিক্ষাক্রম শুরু হওয়ার প্রায় চার মাসের মাথায় ক্লাস রুটিনে পরিবর্তন এনেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। রোববার (৩০ এপ্রিল) সংশোধিত রুটিন প্রকাশ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।

এতে প্রথম ও দ্বিতীয় শিফটের জন্য আলাদা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে- প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অবশ্যই প্রতিদিন সমাবেশে শিক্ষার্থীদের জাতীয় সংগীত গাইবার ব্যবস্থা করবে। এ ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিজেদের পরিকল্পনা অনুযায়ী শরীর চর্চা, পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন শ্রেণির বিভিন্ন উপস্থাপনা যেমন- গান, নাটক, আবৃত্তি, নাচ প্রভৃতিসহ অন্যান্য আয়োজন করতে পারে। এ লক্ষ্যে সমাবেশের সময় বাড়াতে হলে প্রয়োজনে বিদ্যালয় শুরুর সময় এগিয়ে আনা যাবে। কিন্তু কোনোমতেই সেশনের সময় কমানো যাবে না। রুটিনে উল্লেখিত কোনো বিষয়েরই সেশন সংখ্যা বা ক্রম পরিবর্তন করা যাবে না।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষকরাই শুধু ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির সেশন পরিচালনার দায়িত্ব পাবেন। একটি শ্রেণির একটি বিষয়ে একজন শিক্ষককেই দায়িত্ব দেওয়া যাবে। একই শ্রেণির একই বিষয়ে একাধিক শিক্ষককে দায়িত্ব দেওয়া যাবে না। যে শিক্ষক যে বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন তাকে সে বিষয়েরই সেশন বা শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্ব দিতে হবে।

মাউশির নির্দেশনায় জাতীয় দিবসগুলো উদযাপন (২১ ফেব্রুয়ারি, ১৭ মার্চ, ২৬ মার্চ, পহেলা বৈশাখ, ১ মে, ১৫ আগস্ট, ১৬ ডিসেম্বর) শিখনকালীন কার্যক্রম হিসেবে ধরা হয়েছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের শিক্ষকরা আগে থেকেই পরামর্শ করে শিক্ষক সহায়িকার নির্দেশনা অনুসরণ করে বিদ্যালয়ে জাতীয় দিবসের কার্যক্রম সাজাবেন। যাতে করে এসব দিবস পালনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের যে অভিজ্ঞতা অর্জন করা প্রয়োজন তা অর্জিত হয়।

অন্যদিকে নতুন শিক্ষাক্রমের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির ২২টি বইয়ের ৪২১টি ভুলভ্রান্তি ও অসঙ্গতির তথ্যের জন্য নতুন করে পাঠ্যবই ছাপানো হবে না। সংশোধিত তথ্য শিট আকারে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে বিতরণ করা হবে। সংশোধনীগুলো এনসিটিবির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। এখন শিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমে তা জেলা-উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হবে। তারা বিদ্যালয়গুলোতে এসব সরবরাহ করবেন। এ ছাড়া অধিদপ্তরের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান প্রধানরা সংশোধনীর তালিকা পেয়েছেন। শ্রেণি শিক্ষকের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বইয়ে তা সংশোধন করে দেওয়া হবে।

এমএইচএম/কেএসআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।