জাল সনদের শিক্ষকদের বেতন বন্ধ, টাকা ফেরত না দিলে মামলা

বেসরকারি স্কুল-কলেজে সদন জাল করে চাকরি নেওয়া চারশোর বেশি শিক্ষকের বেতন-ভাতা বন্ধ করে দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। এমপিও শিক্ষকদের বুধবার (২ আগস্ট) পরিশোধ করা জুলাই মাসের বেতন-ভাতার তালিকায় তাদের নাম নেই। তবে এখনো বেশকিছু জাল সনদে চাকরি নেওয়া শিক্ষক নিয়মিত বেতন-ভাতা পাচ্ছেন। বিষয়টি যাচাই-বাছাই করে তাদের আর্থিক সুবিধা তথা বেতন-ভাতা বন্ধ করা হবে বলে জানিয়েছেন মাউশি কর্মকর্তারা।
জানা গেছে, পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর (ডিআইএ) থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগে ৬৭৮ জন এমপিওভুক্ত জাল শিক্ষক শনাক্ত করে চিঠি পাঠানো হয়। পরে ওই শিক্ষকদের বিরুদ্ধে এমপিও বন্ধ ও ফৌজদারি মামলার সুপারিশ করা হয়। একই সঙ্গে তাদের অবসরকালীন সুবিধা ও কল্যাণ ট্রাস্টের টাকা আটকে দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়।
আরও পড়ুন: সরকারি স্কুলের ১৭ শিক্ষককে চাকরি থেকে অব্যাহতি
মাউশি মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, শনাক্ত জাল শিক্ষকদের মধ্যে প্রায় সবার বেতন-ভাতা বন্ধ করা হয়েছে। কিছু বাকি থাকলেও থাকতে পারে। সেগুলো একটা প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে। হয়তো কাউকে শোকজ করে রাখা হয়েছে। শোকজের প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত তো বেতন-ভাতাটা আমরা বন্ধ করতে পারি না।
যাদের বেতন-ভাতা বন্ধ হয়েছে, তাদের কাছে এ পর্যন্ত সরকারের দেওয়া বেতন-ভাতা ফেরত চাওয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, এবার এমপিও বাবদ যে টাকা তারা নিয়েছেন, তা ফেরত নেওয়া হবে। ফেরতের নির্দেশ দিয়ে চিঠি পাঠানো হবে। যদি কেউ টাকা ফেরত না দেন, তাহলে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।
জানা গেছে, জাল শিক্ষকের তালিকায় উঠে আসা ৬৭৮ জনের মধ্যে ৪৭৯ জন এমপিওভুক্ত। বাকি ১৯৯ জন নন-এমপিও। জাল সনদধারীদের মধ্যে ৩২৩ জন শিক্ষক নিবন্ধন সনদ জাল করে চাকরি নেন। বাকিদের মধ্যে ১২৫ জন জাল কম্পিউটার সনদ এবং ৩১ জন বিএড-বিপিএডসহ বিভিন্ন সনদ জাল করে এমপিও সুবিধা নিচ্ছিলেন।
আরও পড়ুন: ছুটি ছাড়া অনুপস্থিত শিক্ষকের তালিকা প্রতিদিন দেওয়ার নির্দেশ
এদিকে, বুধবার (২ আগস্ট) থেকে আগামী ৮ আগস্ট পর্যন্ত বেতন-ভাতা তুলতে পারবেন এমপিও শিক্ষকরা। সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মতোই বেসরকারি স্কুল-কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীরাও (এমপিও) ৫ শতাংশ বিশেষ প্রণোদনাসহ জুলাই মাসের বেতন-ভাতা পাচ্ছেন।
এএএইচ/এমকেআর/জিকেএস