স্ত্রীকে ‘পুরুষ’ বলায় উপস্থাপিকাকে ফ্রান্স প্রেসিডেন্টের মামলা

বিনোদন ডেস্ক
বিনোদন ডেস্ক বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:০১ পিএম, ২৪ জুলাই ২০২৫

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এবং তার স্ত্রী ব্রিজিত ম্যাক্রোঁ যুক্তরাষ্ট্রের কনজারভেটিভ ইনফ্লুয়েন্সার, উপস্থাপিকা এবং পডকাস্টার ক্যান্ডেস ওয়েন্সের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছেন। ওয়েন্স সম্প্রতি দাবি করেছেন, ব্রিজিত আসলে পুরুষ হিসেবে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। এ নিয়ে ব্যাপক বিতর্কের সৃষ্টি হয়।

বুধবার ডেলাওয়ারে দায়েরকৃত এই মামলায় বলা হয়েছে। ক্যান্ডেস ওয়েন্স ইচ্ছাকৃতভাবে ‘অসত্য, হাস্যকর এবং বিভ্রান্তিকর গল্প’ ছড়িয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন ম্যাক্রোঁ দম্পতি। তাদের ভাবমূর্তিতে ‘গভীর ক্ষতি’ এবং ‘আর্থিক ক্ষতি’ হয়েছে বলেও সেই মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

মামলার নথিতে বলা হয়, ওয়েন্স শুধু এই তত্ত্ব ছড়াননি বরং তা ব্যবহার করেছেন নিজস্ব প্ল্যাটফর্ম প্রচার, খ্যাতি অর্জন ও অর্থ উপার্জনের হাতিয়ার হিসেবে। তার ‘Becoming Brigitte’ নামের আট পর্বের ধারাবাহিক ইউটিউবে মুক্তি পায়। এর মাধ্যমে তিনি প্রায় ৪৫ লাখ অনুসারীর কাছে তার তথ্য পৌঁছে দেন।

কোর্ট ডকুমেন্টে আরও বলা হয়, ক্যান্ডেস ওয়েন্স দাবি করেছেন, ‘ব্রিজিত ম্যাক্রোঁ আসলে জন্মগ্রহণ করেছিলেন ‘জ্যঁ-মিশেল ত্রোনিয়ে’ নামে। ইমানুয়েল ও ব্রিজিত রক্তের সম্পর্কিত। এমনকি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ একটি সিআইএ প্রকল্পের ফলাফল, যা সরকারি মাইন্ড কন্ট্রোল এক্সপেরিমেন্ট হতে পারে।’

এই অভিযোগগুলো নিয়ে প্রেসিডেন্ট ও তার স্ত্রী গত ডিসেম্বরে একটি চিঠির মাধ্যমে ওয়েন্সকে জবাব দেন, যেখানে তারা স্পষ্টভাবে এই গুজব অস্বীকার করেন এবং প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে ‘ধর্ষণের মতো অভিযোগ’ সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেন।

মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, ম্যাক্রোঁ ও ব্রিজিতের সম্পর্কের শুরু ১৯৯৩ সালে। যখন ইমানুয়েল ছিলেন ১৫ বছর বয়সী ছাত্র এবং ব্রিজিত ছিলেন তার ৩৯ বছর বয়সী বিবাহিত শিক্ষিকা। তাদের সম্পর্ক আইনের সীমার ভেতরেই ছিল এবং তারা ২০০৭ সালে যখন ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ২৯ বছর বয়সী, তখন বিয়ে করেন।

সম্প্রতি এই দম্পতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনায় আসেন যখন মে মাসে ভিয়েতনামে রাষ্ট্রীয় সফরের সময় বিমান থেকে নামার মুহূর্তে ব্রিজিত প্রকাশ্যে ইমানুয়েলকে থাপ্পড় মারেন। যদিও প্রেসিডেন্ট পরে জানিয়েছেন, এটা ছিল মজার ছলে স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া, কোনো গৃহকলহ নয়।

এদিকে, ব্রিজিত ম্যাক্রোঁকে ঘিরে একটি বায়োপিক সিরিজ নির্মিত হচ্ছে, যা তৈরি করছে গোমঁ স্টুডিও। যারা জনপ্রিয় নেটফ্লিক্স সিরিজ ‘লুপাঁ’র প্রযোজক হিসেবেও পরিচিত।

ফরাসি এই প্রেসিডেন্ট দম্পতির আইনি পদক্ষেপ অনেকেই দেখছেন গুজব ও সামাজিক মাধ্যমে ছড়ানো অপপ্রচারের বিরুদ্ধে উচ্চ পর্যায়ের প্রতিরোধ হিসেবে।

এলআইএ/এমএমএফ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।