যাত্রী না হয়েও বিমান দুর্ঘটনায় নির্মাতার মৃত্যু

বিনোদন ডেস্ক
বিনোদন ডেস্ক বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬:৩২ পিএম, ২১ জুন ২০২৫

মিউজিক ভিডিও বানাতেন মহেশ জিরাওয়ালা, বানিয়েছেন সিনেমাও। যুক্ত ছিলেন এইডস প্রতিরোধী সচেতনতামূলক নির্মাণে। গত ১২ জুন থেকে তিনি ছিলেন নিখোঁজ, ফোনও ছিল বন্ধ। পরে পোড়া এক মরদেহের ডিএনএ পরীক্ষায় জানা গেল, তিনিই গুজরাটি নির্মাতা মহেশ।

ভারতের আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার যাত্রীবাহী বিমান দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু হয়েছে। যদিও তিনি ওই বিমানের যাত্রী ছিলেন না।

সেদিন ভারতের আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়। মহেশ জিরাওয়ালার মোবাইলের শেষ অবস্থান ছিল দুর্ঘটনাস্থল থেকে ৭০০ মিটার দূরে। এ কারণে তার মৃত্যুর সম্ভাবনা খতিয়ে দেখে পুলিশ। ঘটনাস্থলের কাছাকাছি মহেশের ফোনের অবস্থান জানার পর তার পরিবারের কাছ থেকে ডিএনএ-এর নমুনা সংগ্রহ করে পুলিশ। অজ্ঞাতনামা এক মরদেহের ডিএনএর নমুনা মিলে যায় মহেশের পরিবারের নমুনার সঙ্গে। তারপরই পুলিশ মহেশের মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করে।

শুরুতে পরিবার মহেশের মরদেহ গ্রহণ করতে চায়নি। তাদের আশা ছিল, মহেশ হয়তো বেঁচে আছেন। ঘটনাস্থল থেকে মহেশ জিরাওয়ালার পোড়া স্কুটার উদ্ধার করা হয়, যা ইঙ্গিত করে বিধ্বস্ত বিমানটির আঘাতেই তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। পরে স্কুটারের চেসিস নম্বর এবং ডিএনএ রিপোর্টের ভিত্তিতে পুলিশ যথেষ্ট প্রমাণ হাজির করলে পরিবারটি মহেশের মৃত্যু মেনে নেয়।

আহমেদাবাদের নারোদার বাসিন্দা মহেশ জিরাওয়ালার ছিল নিজস্ব প্রযোজনা সংস্থা। ২০১৯ সালে একটি চলচ্চিত্র পরিচালনা করেছিলেন তিনি। মহেশ এক মেয়ে ও এক ছেলের বাবা।

আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার ওই ফ্লাইট ১২ জুন শাহিবাগের বিআই মেডিকেল হোস্টেলে বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনায় ২৭৯ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

আরএমডি/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।