যে কারণে ১৭ বার বাড়ি বদল করতে হয়েছে মৈথিলী ঠাকুরকে

বিনোদন ডেস্ক
বিনোদন ডেস্ক বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:৫৭ পিএম, ১৮ নভেম্বর ২০২৫
মৈথিলী ঠাকুর। ছবি: সংগৃহীত

রিয়েলিটি শোয়ের মঞ্চ থেকে সরাসরি রাজনীতির অঙ্গনে-মাত্র ২৪ বছর বয়সেই ভারতের বিহারের সর্বকনিষ্ঠা বিধায়ক হয়ে নজর কেড়েছেন গায়িকা মৈথিলী ঠাকুর। ‘সা রে গা মা পা লিট্‌ল্‌ চ্যাম্পস’র পরিচিত মুখ থেকে আজ জনপ্রিয় জননেত্রী, কিন্তু যাত্রাপথ ছিল না মোটেই সহজ।

নির্বাচনে জয়ের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় তার অনুসরণকারীর সংখ্যা ছুঁয়েছে ১৪০ লাখ। তবে প্রচারের সময় বিভিন্ন মন্তব্যকে ঘিরে তাকে কম কটাক্ষ সইতে হয়নি। একাধিক সাক্ষাৎকারে তার বক্তব্য নিয়ে তোলপাড় হলেও শেষ পর্যন্ত ভোটে জিতে সব সমালোচনাকে সামনে থেকেই হারিয়েছেন মৈথিলী।

কিন্তু লড়াইটা আরও আগের। স্কুলজীবনে ইংরেজি মাধ্যমের সহপাঠীরা তাকে ডাকত ‘বোকা বিহারি’ বলে। প্রথম বেঞ্চে বসেও ছিলেন একা। বন্ধুহীন সেই সময়টা বারবার ভেঙে দিয়েছিল মন। রিয়েলিটি শোগুলোতেও মিলেছে প্রত্যাখ্যান-‘সা রে গা মা পা’ থেকে বাদ পড়তে হয়েছে অতিরিক্ত শাস্ত্রীয় সংগীত গাওয়ার জন্য, একই ঘটনা ঘটেছে ‘ইন্ডিয়ান আইডল’-এও।

তার ওপর নেমে আসে আর্থিক দুরবস্থা। একটা সময় এক কামরার ঘরে থাকতে বাধ্য হয়েছিলেন পরিবারের সবাই। নিয়মিত রেওয়াজে প্রতিবেশীরা বিরক্ত হতেন, বাধ্য হয়ে বদলাতে হয়েছে ১৭টি বাড়ি। মৈথিলীর মা ভারতী ঠাকুর জানান, বড় ঘর ভাড়া নেওয়ার সামর্থ্য ছিল না বলেই এভাবে ঘর পাল্টাতে হয়েছে। ২০১৭ সালে প্রথম দিল্লিতে নিজের বাড়ি কেনার পর বদলে যেতে থাকে তাদের জীবন। ২০২০ সালে পান আরও বড় ফ্ল্যাট।

আরও পড়ুন:
মুক্তির আগেই নজর কেড়েছে রণবীরের ‘ধুরন্ধর’
কার্তিক আরিয়ানের বাড়িতে বিয়ের আনন্দ

বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সিদ্ধান্ত নেন-ভজন ছাড়া আর কিছুই গাইবেন না। নিজের পরিচিতিকে বিশ্বাসে, সমালোচনাকে শক্তিতে বদলে আজ তিনি এক অনন্য উদাহরণ প্রতিকূলতাকে জয় করে উঠে দাঁড়ানোর সাফল্যগাঁথা।

এমএমএফ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।