মৃত্যুর আগে চিকিৎসককে দায়ী করলেন অভিনেত্রী


প্রকাশিত: ০৮:৫২ এএম, ১৯ মে ২০১৫

মুম্বাইয়ের লোখণ্ডওয়ালার বাড়ির শৌচাগারে গলা কাটা অবস্থায় উদ্ধার করা হয় বলিউড অভিনেত্রী শিখা যোশীর রক্তাক্ত দেহ। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।

মরার আগে তার এই পদক্ষেপের জন্য এক কসমেটিক সার্জেনকে দায়ী করে গিয়েছেন শিখা। শিখার রুমমেট মধু ভারতী রক্তাক্ত শিখাকে হাসাপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় মধুর রেকর্ড করা ভিডিওটিতে নিজের শেষ বয়ান দিয়ে যান। ওই চিকিৎসক ছাড়াও ‘বহু বিবাহিত পুরুষ’ এর জন্য দায়ী বলেও অভিযোগ জানিয়ে গিয়েছেন শিখা।

ভারসোভা পুলিশ জানিয়েছে, যে শল্যচিকিৎসকের নাম বলেছেন শিখা তার বিরুদ্ধে ৪ বছর আগে শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তিনি। শিখার মৃত্যুর ঘটনায় খুব শীঘ্রই ওই শল্য চিকিৎসককে জেরা করা হবে।

এদিকে শিখার বন্ধু মধু জানিয়েছেন, ‘শনিবার রাতে আমি, আমার স্বামী, দুই বন্ধপ অনু ও রিয়াজ প্রায় এত গল্প করছিলাম যে ভোর সাড়ে চারটে বেজে যায়। শিখাও ছিল। তারপর ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। আমি যখন পৌনে ছটা নাগাদ উঠলাম শিখাকে খুঁজে পাচ্ছিলাম না। একটা আওয়াজ পেলাম শৌচাগার থেকে। দেখি দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। ভিতর থেকে শিখার গোঙানির শব্দ, ‘সব শেষ, কেউ আমাকে বাঁচাতে পারবে না।’

এরপরে আমি যখন দরজায় জোরে ধাক্কা দিতে শুরু করি, ‘তখন ও বলতে থাকে, আমি বের হবো না। বের হলেই সবাই আমাকে ধরে ফেলবে। আমি ওকে বোঝালাম, বাইরে আমরা ওর কয়েকজন বন্ধুই শুধু রয়েছি, চা খেতে খেতে আমরা সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করব।’

এরপর শিখা দরজা খুলে দেয় ঠিকই কিন্তু ওখানেই সে পড়ে যায় বলে মধু পুলিশকে জানিয়েছেন। বাথরুমের মাটি তখন রক্তে ভেসে যাচ্ছে। ওর জামা কাপড়ে এমন কোনও জায়গা নেই যেখানে রক্ত লেগে নেই। তখন জ্ঞান ছিল শিখার।

মধু বলেন, ‘আমরা ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। তাই ভিডিও রেকর্ডের কথা মনে হল। কেন শিখা এমন করল সেটাও তখন জানাটা প্রয়োজন ছিল।’

মধুর কথায়, শিখা তাকে আগে বলেছিলেন ইন্ডাস্ট্রিতে কীভাবে তিনি শোষিত হয়েছেন। অভিনয়ের কাজ পাচ্ছিলেন না, হাতে সময়মতো পারিশ্রমিকও পাচ্ছিলেন না। যেদিন তিনি আত্মঘাতী হন শিখা সেদিন তিনি মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন।

পুলিশ সূত্রে বলা হয়েছে, এই ভিডিও ক্লিপটি যাচাইয়ের জন্য পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে। শিখার দাদাকেও খবর দেওয়া হয়েছে, এই বিষয়ে শিখার দাদার থেকেও জানতে চাওয়া হবে।

এলএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।