ভারতের ‘ধুরন্ধর’ সিনেমা নিয়ে করাচিতে মামলার আবেদন

বিনোদন ডেস্ক
বিনোদন ডেস্ক বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:১৩ পিএম, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫
ভারতের ‘ধুরন্ধর’ সিনেমা নিয়ে করাচিতে মামলার আবেদন

ভারতীয় চলচ্চিত্র ‘ধুরন্ধর’-এ পাকিস্তান পিপলস পার্টিকে মানহানি ও বিভ্রান্তিকরভাবে উপস্থাপনের অভিযোগ উঠেছে। সেই অভিযোগে করাচির একটি জেলা আদালতে মামলা দায়েরের আবেদন করা হয়েছে। শুক্রবার করাচির জেলা ও দায়রা আদালতে এই আবেদন জমা পড়ে।

আবেদনকারী নিজেকে পাকিস্তান পিপলস পার্টির একজন কর্মী হিসেবে পরিচয় দিয়ে জানান, চলচ্চিত্রটির ট্রেলার ও প্রচারণামূলক উপকরণে দলটিকে সন্ত্রাসীদের প্রতি সহানুভূতিশীল হিসেবে দেখানো হয়েছে। পাশাপাশি করাচির লিয়ারি এলাকাকে ‘সন্ত্রাসী যুদ্ধক্ষেত্র’ হিসেবে চিত্রিত করা হয়েছে। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর।

আবেদনকারী মোহাম্মদ আমির ফৌজদারি কার্যবিধির বাইশ-এ ও বাইশ-বি ধারায় আবেদনটি দাখিল করেন। এতে চলচ্চিত্রটির পরিচালক, প্রযোজক, অভিনেতা ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সদস্যদের প্রস্তাবিত অভিযুক্ত এবং সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রতিপক্ষ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন
রেড সি উৎসবে ইতিহাস গড়ল রোহিঙ্গা ভাষার সিনেমা ‘লস্ট ল্যান্ড’
শাহরুখ-মেসির ঐতিহাসিক সাক্ষাৎ হবে কলকাতায়

আবেদনে বলা হয়, গত দশ ডিসেম্বর দারাখশান থানার আওতাধীন একটি ক্যাফেতে অবস্থানকালে তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলচ্চিত্রটির সরকারি ট্রেলার ও প্রচারণা ভিডিও দেখেন। সেখানে পাকিস্তান পিপলস পার্টির সাবেক চেয়ারপারসন ও প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর ছবি, দলীয় পতাকা ও সমাবেশের দৃশ্য কোনো ধরনের আইনি অনুমতি ছাড়াই ব্যবহার করা হয়েছে।

আবেদনকারীর অভিযোগ, এসব উপস্থাপনার মাধ্যমে ইচ্ছাকৃতভাবে পাকিস্তান পিপলস পার্টি, দলের নেতৃত্ব ও সমর্থকদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ও বিদ্বেষ উসকে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। একই সঙ্গে করাচি শহর, বিশেষ করে লিয়ারিকে সন্ত্রাসী অঞ্চল হিসেবে দেখানো দেশ ও জনগণের সুনাম ক্ষুণ্ন করেছে বলে তিনি দাবি করেন।

তিনি আরও বলেন, এই চলচ্চিত্রে মানহানি, অপরাধমূলক ভয়ভীতি প্রদর্শন, দাঙ্গা উসকে দেওয়ার উদ্দেশ্যে প্ররোচনা এবং বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতা সৃষ্টি করার মতো অপরাধের উপাদান রয়েছে।

আবেদনকারী জানান, এ ঘটনার কারণে তিনি মানসিক যন্ত্রণা ও সামাজিক ক্ষতির শিকার হয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে দারাখশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিলেও পুলিশ মামলা নথিভুক্ত করেনি।

আদালতের কাছে তিনি সংশ্লিষ্ট থানাকে মামলা দায়েরের নির্দেশ দেওয়া এবং বিষয়টির তদন্ত দক্ষিণ জেলার জ্যেষ্ঠ পুলিশ সুপারের তত্ত্বাবধানে পরিচালনার আবেদন জানান।

 

এলআইএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।