নীরবেই চলে গেল মিতা নূরের মৃত্যুবার্ষিকী

ছোট পর্দার এক সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ছিলেন মিতা নূর। মনে আছে তাকে ? হাসি-খুশি চঞ্চল এই অভিনেত্রী না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন পাঁচ বছর হয়ে গেল। এতো দিনে তার নামটি ধুসর হয়ে গেছে মনে হয়! গতকাল ১ জুলাই ছিল তার মৃত্যুদিন। নিরবেই পার হয়ে গেল দিনটি। তাকে মনে করেননি কেউ!
২০১৩ সালের ১ জুলাই, গুলশানের নিজ বাসা থেকে গলায় ওড়না পেঁচানো মিতা নূরের মরদেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। মিতা নূরের আত্মহত্যাটিকে অনেকেই রহস্য জনক বলেও উল্লেখ করেছিলেন সেই সময়। মৃত্যুর পরপরই অভিনেত্রী মিতা নূরের বাবা ফজলুর রহমান গুলশান থানায় একটি অপমুত্যুর মামলাও দায়ের করেছিলেন।
মিতা নূরের আত্মহত্যার সঙ্গে স্বামী শাহানুর রহমানের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলেও কোনো কোনো গণমাধ্যমে তখন খবর প্রকাশ হয়েছিল। একাধিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়েছিল, স্বামীর পরকীয়া সম্পর্ক মেনে নিতে না পেরেই আত্মহত্যা করে দীর্ঘ ২৪ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টেনেছিলেন অভিনেত্রী মিতা নূর।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায়- ‘২০১৩ সালের ১ জুলাই, সোমবার সকালে রাজধানীর গুলশানের নিজ বাসা থেকে অভিনেত্রী মিতা নূরের ওড়না পেঁচানো ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এর দুই দিন আগে শনিবার মিতা নূর তার মায়ের বাড়ি বাসাবো থেকে নিকেতনে তার স্বামীর অফিসে আসেন। অফিসে স্বামীর সঙ্গে বাগবিতণ্ডার এক পর্যায়ে ভাঙচুর করেন মিতা নূর। পরে সেখানে পুলিশ দুজনকে নিয়ে বিষয়টি মীমাংসা করে দেন। এরপর সোমবার মিতা নূরের লাশ নতুন রহস্যের জাল সৃষ্টি করে।
প্রায়ই গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয় আত্মহত্যার নিউজ। এসব মৃত্যু কারণ হিসেবে দাম্পত্য কলহ দায়ি থাকে বেশি। শোবিজ অঙ্গনেও দিনে দিনে বেড়ে চলেছে এমন ঘটনা। বিয়ে হতে না হতেই ডিভোর্স হচ্ছে অনেকেরই। অতিরিক্ত মানষিক চাপে মিতার মতো আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছেন অনেকেই। যা কখনোই কাম্য নয়।
আবার অনেকের মৃত্যুই রহস্যের জালে বন্দি হয়ে থাকছে বছরের পর বছর। চিত্রনায়ক সালমান শাহ, চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী, মডেল অভিনেত্রী রাহা’র মৃত্যু এখনো রহস্যের জাল বিছিয়ে রেখেছে শোবিজ অঙ্গনে। আর আত্মহত্যা নয়, অস্বাভাবিক মৃত্যু নয়। এমন অনাকাঙ্খিত ঘটনা যেন শোবিজ অঙ্গনে আর শোকের ছায়া নিয়ে না আসে প্রত্যাশা এটাই।
এমএবি/এলএ/পিআর