করোনায় মারা গেলেন শাকিব খানের প্রথম ছবির পরিচালক টুলু

বিনোদন প্রতিবেদক
বিনোদন প্রতিবেদক বিনোদন প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১:২০ পিএম, ২৮ জুলাই ২০২০

চিত্রপরিচালক আফতাব খান টুলু আর নেই। গত শুক্রবার করোনায় আক্রান্ত হয়ে তিনি ল্যাব এইড হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। অবস্থা খারাপ দেখে তাকে আইসিউতে নেয়া হয়। অবশেষে আজ মঙ্গলবার, ২৮ জুলাই বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে তিনি মারা যান। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন।

তার মৃতুতে শোক নেমে এসেছে চলচ্চিত্রপাড়ায়। শোক প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি, প্রযোজক সমিতিসহ সিনেমাসংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলো।

আফতাব খান টুলু দীর্ঘদিন ধরেই ঢাকার মোহম্মদপুরে শেখেরটেকের ১ রোডে স্ত্রী সন্তান নিয়ে বসবাস করতেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর।

টুলু বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সদস্য ছিলেন। ঢাকাই সিনেমায় এ সময়ের শীর্ষ নায়ক শাকিব খান তার সিনেমা দিয়েই নায়ক হিসেবে বড় পর্দায় আসেন। তার পরিচালিত সিনেমা ‘সবাই তো সুখে হতে চায়’ ছিল শাকিব খানের প্রথম সিনেমা। এতে শাকিবের বিপরীতে ছিলেন নবাগতা কারিশমা শেখ।

তবে শাকিব খান অভিনীত প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত ‘অনন্ত ভালোবাসা’।

উল্লেখ্য, আফতাব খান টুলু পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘দায়ী কে?’। এটি ১৯৮৭ সালে মুক্তি পায়। সে ছবির গল্প, চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন যৌথভাবে এটিএম শামসুজ্জামান ও কাজী হায়াৎ। ছবিটি প্রযোজনা ও পরিবেশনা করেছে ব্যতিক্রম চলচ্চিত্র। এতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন এটিএম শামসুজ্জামান, ইলিয়াস কাঞ্চন, অঞ্জু ঘোষ, আনোয়ার হোসেন এবং রাজ। চলচ্চিত্রটি ১৯৮৭ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে মুক্তি পায়।

ছবিটি দর্শক ও সমালোচকদের কাছে দারুণভাবে প্রশংসিত হয়। ১২তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে এটিএম শামসুজ্জামান শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে ও কাজী হায়াৎ শ্রেষ্ঠ কাহিনীকার বিভাগে পুরস্কার লাভ করেন এই ছবির জন্য। বাচসাস চলচ্চিত্র পুরস্কারেও যথাক্রমে শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা ও শ্রেষ্ঠ কাহিনীকার বিভাগে পুরস্কার লাভ করে এই ছবি।

এছাড়াও টুলুর উল্লেখযোগ্য সিনেমার মধ্যে ছিল দুনিয়া, ফুল আর কাঁটা, সতীপুত্র আবদুল্লাহ, আমার জান, ভালোবাসা ভালোবাসা, সবাই তো সুখী হতে চায় প্রভৃতি।

এলএ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।