সেলস গার্লের চাকরি করছেন মোনালিসা


প্রকাশিত: ০৯:০১ এএম, ০৫ ডিসেম্বর ২০১৪

একসময়ের জনপ্রিয় মডেল ও অভিনেত্রী মোনালিসা এখন নিউইয়র্কে সেলস গার্লের চাকরি করছেন। পণ্যের মডেল থেকে তিনি এখন পণ্যসামগ্রীর বিক্রেতা। বিষয়টি কোনো নাটকের ঘটনা নয়, সেলস গার্লও কোনো নাটকের চরিত্র নয়। ঘটনা এবং চরিত্র একেবারেই বাস্তব।

সম্প্রতি নিউইয়র্কের একটি বাংলা টিভি চ্যানেলের চাকরি ছেড়ে তিনি প্রসাধনী সামগ্রী ম্যাকের সেলস গার্লের কাজ নিয়েছেন। জানা গেছে, নিউইয়র্কের কুইন্স মলে ম্যাক-এর স্টোরে অক্টোবর মাস থেকে সেলস গার্লের কাজ করছেন তিনি। পাশাপাশি একটি এয়ারলাইন্সের টিকিট কাউন্টারেও মোনালিসা টিকিট বিক্রির কাজ করেন বলে জানা গেছে।

মডেলিং ও অভিনয় ক্যারিয়ারের পড়ন্ত সময়ে সঙ্গীত শিল্পী ও কম্পোজার হাবিব ওয়াহিদের সঙ্গে মোনালিসার সম্পর্কের বিষয়টি ব্যাপকভাবে চাউর হয়। কিন্তু সে সম্পর্ক শেষ পর্যন্ত পরিণতি পায়নি। এরপর অনেকটা হুট করেই ফাইয়াজ শরীফ ফাসবীর নামে এক প্রবাসীকে বিয়ে করে নিউইয়র্কে পাড়ি দেন মোনালিসা।

জানা যায়, বিয়ের কয়েক মাসের মধ্যেই মোনালিসার বেপরোয়া জীবনে বাধা দেয়ায় স্বামীর সঙ্গে কলহ দেখা দেয় তার। তখন পর্যন্ত তার আমেরিকায় স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি অর্থাৎ গ্রিনকার্ড মেলেনি। জানা গেছে, আমেরিকায় বসবাসের সুযোগ তৈরি করতেই স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা পর্যন্ত করেন তিনি। সেই মামলা এখন বিচারাধীন।

এরপর একাকী জীবনযাপন করতে থাকেন মোনালিসা। চাকরিও খুঁজতে থাকেন। এ সময় নিউইয়র্কভিত্তিক একটি বাংলা টিভি চ্যানেলে নামমাত্র বেতনে চাকরি হয় তার। টিভি প্রতিষ্ঠানটিতে প্রথমে তাকে মার্কেটিং বিভাগের দায়িত্ব দেয়া হলেও পরবর্তীতে অনুষ্ঠান বিভাগের দায়িত্ব দেয়া হয়। কিন্তু সেখানেও তিনি কোনো যোগ্যতারই প্রমাণ রাখতে পারেননি। এ নিয়ে টিভি চ্যানেলের সঙ্গে বেশ কিছুদিন ধরেই সমস্যা চলছিল।

এরই মধ্যে সহকর্মীর সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে একবার চাকরিচ্যুতও হন। কিন্তু অদৃশ্য শক্তিতে আবারও ফিরে আসেন। শেষমেশ নিজেই চাকরি ছাড়লেন। এরই মধ্যে স্বামীর সঙ্গে মামলা বিচারাধীন থাকায় ওয়ার্ক পারমিট পেয়েছেন মোনালিসা। আর তা পাওয়ার পর টিভির চ্যানেলের চাকরি ছেড়ে অপেক্ষাকৃত বেশি বেতনে কাজ নেন ম্যাকের স্টোরে সেলস গার্ল হিসেবে।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।