নিপুণের সেরা ছবি ৭১-এর মা জননী (ভিডিও)
শাহ আলম কিরণ পরিচালিত ‘৭১-এর মা জননী’ নিপুণের অভিনয় জীবনের সেরা ছবি। এ ছবির নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন বলে নয়, মহান মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে নির্মিত একটি ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করা নিপুণের মতো একজন শিল্পীর সৌভাগ্যের বিষয়। এমনই মনে করেন দুইবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী নিপুণ আক্তার।
নিপুণ বলেন, অভিনয় জীবনের প্রায় দশ বছর হতে চলছে। এর মধ্যে আমি অনেক ভাল ভাল ছবিতে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। বিশেষ করে আমি নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের কথা উল্লেখ করতে চাই। তার লেখা ‘সাজঘর’ অবলম্বনে নির্মিত ছবিতে অভিনয় করে আমি প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাই। হুমায়ূন আহমেদের মতো ব্যক্তিত্বের লেখা কাহিনীতে অভিনয় করা আমার জন্য অত্যন্ত গৌরবের।
নিপুণ বলেন, ‘৭১-এর মা জননী’ ছবিটি নির্মাণ হয়েছে আরেক খ্যাতিমান কথা-সাহিত্যিক আনিসুল হকের ‘সাহসিনী ৭১’ অবলম্বনে। দুর্দান্ত একটি গল্প। আর আমার চরিত্রটি সম্পর্কে আবারও বলছি, এটা আমার জীবনের সেরা একটি চরিত্র। দারুণ চ্যালেঞ্জিং। একেবারে অন্য এক নিপুণকে পাওয়া যাবে এ চরিত্রে। ভবিষ্যতে এ ধরনের চরিত্র পাবো কিনা জানি না। সে জন্যই আমি পরিচালকের নির্দেশ মেনে মনপ্রাণ উজাড় করে অভিনয় করেছি। চেষ্টা করেছি চরিত্রের সঙ্গে মিশে যেতে। আমার বিশ্বাস, মহান মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে নির্মিত ‘৭১-এর মা জননী’ ছবিটি সর্বমহলে প্রশংসিত ও স্বীকৃত হবে।
সম্প্রতি ১৫ দিনের সফর শেষে আমেরিকা থেকে দেশে ফিরেন নিপুণ। মা’কে নিয়ে সেখানে গিয়েছিলেন বেড়াতে। সেখান থেকে ইস্তাবুল হয়ে ফিরলেন দেশে। ফিরেই সময়ের নিয়মে কিছুটা বিশ্রাম। তারপর নেমে পড়লেন কাজে। তবে এখনকার বেশি কাজ ‘৭১-এর মা জননী’ ছবির প্রচার-প্রচারণা নিয়ে। কিছু কিছু সংবাদে বিব্রতও হচ্ছেন বলে জানালেন তিনি।
তিনি বলেন, ২৬ ডিসেম্বর মুক্তি প্রতীক্ষিত এ ছবির প্রচার-প্রচারণার ক্ষেত্রে তিনি এখন থেকে দেখে-শুনে চলবেন। কারণ, এটি তার জীবনের সেরা ছবি, বিশাল প্রাপ্তি। কারও জন্য কিংবা কোন বিভ্রান্তিকর সংবাদে এ অর্জন প্রশ্নবিদ্ধ হোক এটা তিনি চান না।
নিপুণ বলেন, ‘৭১-এর মা জননী’তে আমি আমার সর্বোচ্চ মেধা ও শ্রম দিয়ে কাজ করেছি। এ ধরনের ছবি সব সময় সবার ভাগ্যে জোটে না। এর সুফলটা আমি পেতে চাই। এবং এটা আমি পাবো বলে বিশ্বাস করছি।