পশ্চিমবঙ্গে ভারী বৃষ্টি
দার্জিলিংয়ে ভূমিধসে ৬ জনের মৃত্যু, তিস্তায় বিপৎসীমার ওপর পানি
পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিংয়ে ভূমিধসে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (৪ অক্টোবর) রাত থেকে টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে পুরো এলাকা। উত্তাল তিস্তায় বিপৎসীমার ওপর বইছে পানি।
জানা যায়, দার্জিলিংয়ের মিরিকে টানা বৃষ্টির কারণে ভূমিধসে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ভূমিধসের ফলে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের বিভিন্ন রাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে গেছে। এছাড়া, দুধিয়া লোহার ব্রিজ ভেঙে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন>>
আবারও ভারতের `সবচেয়ে নিরাপদ শহর' কলকাতা, যা বললেন আরজি করে নির্যাতিতার মা
সিকিম যাওয়ার পথে বাস খাদে পড়ে ৪ জনের মৃত্যু
পশ্চিমবঙ্গজুড়ে প্রবল বর্ষণ-ঝড়ের আশঙ্কা, কমলা সতর্কতা জারি
এরই মধ্যে রাজ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্ধার তৎপরতা শুরু হয়েছে। তবে প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে।
কলকাতা আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাসে ভারী বৃষ্টির ব্যাপারে আগেই সতর্ক করা হয়েছিল। তা সত্য করে শনিবার রাতভর বজ্রবিদ্যুৎসহ ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয় উত্তরবঙ্গের পাহাড় ও সমতলে। তার ফলে ভূমিধস নামে দার্জিলিংয়ের মিরিকে।
টানা বৃষ্টিতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে কয়েক হাজার পরিবার। উত্তাল হয়ে উঠেছে তিস্তা থেকে মহানন্দা, জলঢাকা, তোর্সার মতো নদীগুলো। বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, দার্জিলিং জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে।
কালিম্পংয়ে তিস্তা নদী সংলগ্ন এলাকা বর্তমানে পানির তলায়। রাজ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেখানকার বাসিন্দাদের নিরাপদ জায়গায় সরানোর কাজ শুরু কহয়েছে। ২৯ মাইল অঞ্চলের বালুওয়াখানিও তিস্তার পানির নিচে চলে গেছে।
পাহাড়ি নদী তিস্তা, মহানন্দা, জলঢাকা, তোর্সার পানি বিপৎসীমার ওপর বইতে শুরু করেছে। এর প্রভাব বাংলাদেশেও পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে।
এদিকে শিলিগুড়ির পোড়াঝাড়ে বাঁধ ভেঙে পানি ঢুকে প্লাবিত হয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কাজ করছে প্রশাসন। তবে বৃষ্টি না থামলে বড় বিপর্যয়ের আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।
ডিডি/কেএএ/