ট্রাম্পের শান্তি চুক্তির ফলে নিরাপদ হবে লোহিত সাগরের নৌপথ
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে গাজায় যুদ্ধবিরতি এ চুক্তি মধ্যপ্রাচ্যে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় নতুন আশা জাগিয়েছে। এর ফলে লোহিত সাগরে চলাচল করা বাণিজ্যিক জাহাজে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের হামলা কমতে পারে।
হুথি বিদ্রোহীদের এসব হামলার কারণে বহু বাণিজ্যিক জাহাজকে আফ্রিকার দক্ষিণ প্রান্ত ঘুরে যাতায়াত করতে হচ্ছে। ফলে বৈশ্বিক সরবরাহব্যবস্থায় বড় ধরনের বিঘ্ন সৃষ্টি করেছে এবং আন্তর্জাতিক নৌ-জোটগুলোকে হস্তক্ষেপে বাধ্য করেছে। শান্তি চুক্তির এই পদক্ষেপ গুরুত্বপূর্ণ এ আন্তর্জাতিক বাণিজ্যপথে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে সহায়ক হতে পারে।
কূটনীতিক ও বিশ্লেষকরা মনে করেন, গাজা যুদ্ধবিরতি শুধু ইসরায়েল-ফিলিস্তিন অঞ্চলে নয়, পুরো মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা কমাতে পারে। এতে লোহিত সাগর করিডোরসহ আঞ্চলিক সামুদ্রিক নিরাপত্তা পুনঃস্থাপনের ক্ষেত্র তৈরি হতে পারে।
২০২৩ সাল ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে হামাসের যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা লোহিত সাগরে একাধিক বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা চালিয়েছে। হামাসের পক্ষ নিয়ে এসব হামলার দায় স্বীকারও করেছে বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি। তবে গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে তারা এখনো কোনো মন্তব্য কিংবা তাদের নীতিতে পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়নি।
যুদ্ধবিরতির খবর প্রকাশের পর বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) ডেনিশ শিপিং জায়ান্ট মায়ের্সকের শেয়ারের দাম কোপেনহেগেনে দুই শতাংশ কমে যায়। বিশ্লেষকদের মতে, নিরাপদ নৌপথ পুনরায় চালু হলে পরিবহন সক্ষমতা বাড়বে এবং ভাড়ার হার কমে যেতে পারে। তবে শিপিং কোম্পানিগুলো অন্তত কয়েক মাস অপেক্ষা করবে, যতক্ষণ না তারা নিশ্চিত হয় যে হামলা আবার শুরু হবে না।
সূত্র : আরব নিউজ
কেএম