সুদানের স্কুলে আধা-সামরিক বাহিনীর ড্রোন হামলা, শিশুসহ নিহত ৫০

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮:৫৬ পিএম, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫
সুদানে বর্তমানে ৩ কোটি মানুষের মানবিক সহায়তা প্রয়োজন/ ফাইল ছবি

সুদানের দক্ষিণ-কেন্দ্রীয় কালোগি শহরে একটি স্কুলে হওয়া ড্রোন হামলায় কমপক্ষে ৫০ জন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৩৩ জন শিশু। এছাড়া কালোগিতে আহতদের চিকিৎসা দেওয়া প্যারামেডিকদের ওপরও হামলা চালিয়েছে হামদান দাগালোর (হেমডিটি) নেতৃত্বে থাকা আধা-সামরিক বাহিনী র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ)।

সুদান ডক্টরস নেটওয়ার্ক জানিয়েছে, এ ড্রোন হামলায় মৃতের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। ওই এলাকার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি।

ইউনিসেফের সুদান প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট্ট বলেছেন, শিশুদের স্কুলে এমন হত্যাকাণ্ড শিশু অধিকার লঙ্ঘনের ভয়াবহ ঘটনা। সবাইকে অবিলম্বে এই হামলা বন্ধ করতে হবে এবং মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর নিরাপদ ও অবাধ প্রবেশ নিশ্চিত করতে হবে।”

কোরদোফান প্রদেশের বিভিন্ন এলাকায় সম্প্রতি শতাধিক সাধারণ মানুষ নিহত হয়েছেন। এছাড়া আরএসএফের বিরুদ্ধে দারফুর এবং এল-ফাশার শহরেও বহু সাধারণ মানুষকে হত্যা এবং নারীদের ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে।

এর আগে গত সপ্তাহে সুদানি সেনাবাহিনীর বিমান হামলায় দক্ষিণ কোরদোফান জেলার কৌদায় অন্তত ৪৮ জন নিহত হয়েছে যাদের অধিকাংশই সাধারণ মানুষ।

জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ভোল্কার টার্ক সতর্ক করেছেন, কোরদোফান এলাকা এল-ফাশারের মতো নতুন বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের মুখে পড়তে পারে।

আরএসএফ এবং সেনাবাহিনী ২০২৩ সাল থেকে সুদানের ক্ষমতা নিয়ে যুদ্ধ করে আসছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, এ যুদ্ধে ৪০হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে এবং ১ কোটি ২০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

সুদানে এখন যে গৃহযুদ্ধ চলছে তা শুরু হয়েছিল ২০১৯ সালে। তিন দশক ধরে প্রেসিডেন্ট থাকা ওমর আল-বশিরকে ক্ষমতাচ্যুত করার মধ্য দিয়ে এ সংকট শুরু হয়। ১৯৮৯ সালে সেনা অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সুদানের ক্ষমতায় আসা ওমর আল-বশিরকে পদ থেকে সরাতে ২০১৯ সালে সুদানে ব্যাপক হারে বিক্ষোভ হয়। এর ধারাবাহিকতায় সেনাবাহিনী অভ্যুত্থানের মাধ্যমে প্রেসিডেন্টের পতন ঘটে। বর্তমানে সুদানের ক্ষমতায় থাকা সেনাবাহিনীর নেতৃত্ব দিচ্ছেন জেনারেল আল-বুরহান।

সূত্র:আরব নিউজ

কেএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।