মৃত্যুর পরও যে শিশুটি বেঁচে উঠবে একদিন


প্রকাশিত: ০৬:৩২ পিএম, ২৪ এপ্রিল ২০১৫

ভালবাসা এক অদ্ভুত অনুভূতি। জাগতিক নিয়মও সবসময় মানতে রাজি নয় তা। মৃত্যুতেই যে জীবনের সমাপ্তি, সে যুক্তিকেও সে অতিক্রম করতে চায়।

আর সে কারণেই থাইল্যান্ডের মেথেইরেন নাওভারাটপং-এর মৃত্যু মেনে নিতে পারেননি তার বাবা-মা। তিন বছরের কন্যা সন্তানটির শেষকৃত্য না করে হিমায়িত করে রাখলেন তার দেহ। আশা, একদিন আবার বেঁচে উঠবে মেথেইরেন।

শুরুটা হয়েছিল গত বছর এক সকালে। সেদিন ঘুম থেকে উঠলো না ছোট্ট মেথেইরেন। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর ধরা পড়লো তার মাথায় বড়সড় একটি টিউমার। এ কারণেই কোমায় চলে গেছে বাবা-মার প্রিয় এইনজ, এই নামেই তারা ডাকতেন শিশুটিকে।

এরপর চলে ২০ টি অপারেশন, ২০ পর্যায়ের কেমোথেরাপি এবং ২০ টি রেডিও থেরাপির ধকল। শেষপর্যন্ত জানুয়ারির ৮ তারিখে বোঝা যায়, লাভ নেই কোনো। খুলে নেওয়া হয় লাইফ সাপোর্ট। বাবা-মা’র বুক শূন্য করে চলে যায় এইনজ।

কিন্তু তার বাবা মা শিশুটির শেষকৃত্য করবেন না বলে সিদ্ধান্ত নেন। বরং তারা খুবই ব্যয়বহুল একটি পদ্ধতিতে হিমায়িত করে রাখার সিদ্ধান্ত নেন শিশুটিকে। এই পদ্ধতির নাম ক্রায়োপ্রিজার্ভেশন। যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনায় এই পদ্ধতিতে অল্প কিছু মানুষকে এখন পর্যন্ত হিমায়িত করে রাখা আছে। তারা এই সেবার মাধ্যমে এটুকু নিশ্চিত করে, কোনো একদিন বিজ্ঞান আরো অগ্রসর হলে এই হিমায়িত শরীর ও মস্তিষ্ককে আবার বাঁচিয়ে তুলবে তারা। এইনজ এই পদ্ধতিতে সংরক্ষিত সবচেয়ে কমবয়সী মানুষ।

ছোট্ট এইনজের বাবা-মা এই আশাতেই তাদের আদরের মেয়েটিকে ক্রায়োপ্রিজার্ভেশনে রেখেছেন যে একদিন বেঁচে উঠবে শিশুটি। সেদিন তারা হয়তো থাকবেন না। প্রিয় এইনজ তো তবু পৃথিবীর বুকে হেঁটে বেড়াবে।

এসআরজে


পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।