ফাইজার-মডার্নার চেয়ে কম কার্যকর চীনা ভ্যাকসিন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:১৭ পিএম, ৩০ ডিসেম্বর ২০২০

তৃতীয় ধাপের ট্রায়ালে চীনের সিনোফার্মের করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন ৭৯ শতাংশ কার্যকারিতা প্রমাণ করেছে বলে বুধবার জানিয়েছে ফার্মাসিউটিক্যালসটির কর্তৃপক্ষ। এর ফলে প্রতিযোগী ফাইজার ও মডার্নার ভ্যাকসিনের চেয়ে কম কার্যকারিতা দেখাল সিনোফার্ম।

পশ্চিমের দেশগুলোর সঙ্গে ভ্যাকসিন তৈরির লড়াইয়ে আছে চীন। তাদের পাঁচটি ভ্যাকসিন তৃতীয় ধাপের ট্রায়ালে রয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।

এদের মধ্যে বুধবারই চীনের কোনো ভ্যাকসিনের তথ্য প্রথম প্রকাশ করা হল। সিনোফার্মের সহযোগী প্রতিষ্ঠান বেইজিং ইন্সটিটিউট অব বায়োলজিক্যাল প্রোডাক্টস জানায়, ‘কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে সিনেফার্মের প্রতিরোধ ক্ষমতা ৭৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, চীনের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে অনুমোদনের জন্য সিনোফার্ম আবেদন করেছে। ভাইরাস প্রতিরোধে ভ্যাকসিনটিতে প্যাথোজেন ব্যবহার করা হয়েছে। তবে করোনা পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশে স্বচ্ছতার অভাবে ভ্যাকসিনের বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনে চীনের বেগ পেতে হচ্ছে।

ভ্যাকসিনের তৃতীয় ধাপের ট্রায়াল সম্পন্ন হতেও বেশি সময় লেগেছে। চীনে করোনার সংক্রমণরোধে সাফল্যের কারণে দেশটির বাইরে ট্রায়াল পরিচালনা করা হয়। দেশটির কর্মকর্তারা জনগণকে ভ্যাকসিনের নিরাপত্তার ব্যাপারে বারবার নিশ্চয়তার কথা বলেছেন। ভ্যাকসিনের কোনো মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই বলেও দাবি করেছেন তারা।

চীনে ভ্যাকসিন অনুমোদন পাওয়ার আগেই জরুরি ব্যবহার প্রকল্পে ১০ লাখের বেশি মানুষকে ইতোমধ্যেই ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছেন সামনের সারির স্বাস্থ্যকর্মী, সরকারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কর্মী ও দেশের বাইরে ভ্রমণে যাবেন এমন শ্রমিকরা।

চলতি মাসের শুরুর দিকে সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রথম বিদেশি দেশ হিসেবে সিনোফার্ম ভ্যাকসিনের অনুমোদন দেয়। সেখানে ট্রায়ালের অন্তর্বর্তীকালীন ফলাফলে ভ্যাকসিনের ৮৬ শতাংশ কার্যকারিতা দেখা গেছে বলে জানায় তারা।

চীন তাদের ভ্যাকসিন সুলভ মূল্যে দেবে বলে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে। এশিয়ার যে দেশগুলো সীমিত সংখ্যক ভ্যাকসিন পাচ্ছে তাদের জন্য এটি একটি আশাব্যঞ্জক ব্যাপার হতে পারে।

শুক্রবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বলেন, ‘ভ্যাকসিন ফার্মকে চীন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ করেছে যে চীনের নতুন করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনগুলো তৈরি যখন সম্পন্ন ও ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত হবে, এগুলো বৈশ্বিক জনগণের পণ্য হিসেবে দেয়া হবে এবং সুলভ ও ন্যায্য মূল্যে বিশ্বে সরবারহ করা হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা উন্নয়নশীল দেশগুলোকে ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে বিশেষ প্রাধান্য দেব। বিভিন্ন উপায়ে এগুলো বানানো হবে যার মধ্যে চাঁদা ও অনুদানও রয়েছে।’

এমকে/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।