কোভিড আইন না মানলে ২ মাসের জেল উগান্ডায়
কোভিড বিষয়ক গণস্বাস্থ্য বিধি মেনে না চললে দুই মাসের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে উগান্ডায়। সম্প্রতি দেশটিতে নতুন আইন কার্যকর হয়েছে। উন্মুক্ত স্থানে ধর্মীয় প্রার্থনা, মাস্ক না পড়া, রাস্তায় খাবার ছাড়া অন্য জিনিসপত্র কেনা-বেচা করলেই পুলিশের হাতে গ্রেফতার হতে হবে। করোনার গতিরোধ করতেই এমন পদক্ষেপ নিয়েছে পূর্ব আফ্রিকার দেশটির কর্তৃপক্ষ। খবর ভয়েস অব আমেরিকার।
পরিসংখ্যানভিত্তিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, উগান্ডায় এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৮৩ হাজার ৬৩৬। এর মধ্যে মারা গেছে ১ হাজার ১১১ জন। তবে ইতোমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছে ৫৫ হাজার ৫৫১ জন। দেশটিতে বর্তমানে করোনার অ্যাক্টিভ কেস ২৬ হাজার ৯৭৪। এছাড়া আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে ১ হাজার ৮৬ জন।
জুনের প্রথমদিকে সংগ্রহ করা নমুনায় ডেল্টা ধরনের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। সর্বপ্রথম নতুন এই ধরনটি ভারতে শনাক্ত হওয়ায় এটি ভারতীয় ধরন হিসেবেও পরিচিত। করোনার অন্যান্য ধরনের চেয়ে ডেল্টা ধরনটি খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে সক্ষম। ইতোমধ্যেই বিশ্বের প্রায় ১শ দেশে ডেল্টা ধরন ছড়িয়ে পড়ায় বিশ্বজুড়েই উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, ডেল্টাই এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসের সবচেয়ে সংক্রামক ধরন।
উগান্ডায় ডেল্টার অস্তিস্ত পাওয়ায় উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেন রুথ অ্যাসেং বলেন, আমাদের পর্যবেক্ষণে দেখতে পেয়েছি দ্রুতগতিতে প্রাদুর্ভাবের ফলে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
জুলাইয়ের শেষ দিকে বা আগস্টের শুরুতে দৈনিক সংক্রমণের পিক টাইম বা সর্বোচ্চ সংক্রমণে পৌঁছাতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
সেখানে জুলাইয়ের শুরু থেকেই কাউকে চার্চ বা মসজিদের বাইরে নামাজ আদায়, মাস্ক না পরা এবং রাস্তায় জিনিসপত্র বিক্রি করাসহ যে কোনও ধরনের স্বাস্থ্যবিধি ভঙ্গ করতে দেখলেই দুই মাসের কারাদণ্ড দেয়া হবে।
এই সময়ের মধ্যে কাউকে বার বা মুভি থিয়েটার পরিচালনা করা, সেমিনারে অংশ নেয়া, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বা অভ্যন্তরীণ খেলাধুলায় অংশ নিতে দেখলেও কারাদণ্ড দেয়া হবে। বিশেষজ্ঞরা এই আইনকে জরুরি বলেই মনে করছেন।
এক কর্মকর্তা বলেন, করোনাবিধি লঙ্ঘনের ফলে এই জেল-জরিমানা আসলে শাস্তি নয়। এগুলো মনোভাব পরিবর্তনের চেষ্টা মাত্র। নতুন আইনের মাধ্যমে ভারত থেকে ভ্রমণকারীদের দেশে ফেরার ওপরও নিষেধাজ্ঞা আনা হয়েছে।
এদিকে ভ্যাকসিন কার্যক্রমের গতি আরও বাড়ানো যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এখন পর্যন্ত সাড়ে আট লাখের বেশি মানুষকে ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে। এছাড়া প্রায় এক লাখের বেশি মানুষ ভ্যাকসিনের দু'টি ডোজই পেয়েছে।
কোভ্যাক্স ভ্যাকসিন কার্যক্রমের আওতায় জুলাই থেকে আগস্টের মধ্যে উগান্ডা ৯ লাখ ৭৪ হাজার ৪শ ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। অপরদিকে চীন থেকে সিনোভ্যাকের ৩ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন পাওয়ার কথা রয়েছে।
টিটিএন/এএসএম