ওমিক্রনের জেরে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে লন্ডনের বার-রেস্তোরাঁ
করোনা নতুন ধরন ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়ছে যুক্তরাজ্যজুড়ে। সম্প্রতি করোনা আক্রান্তের হারেও রেকর্ড ছুঁয়েছে দেশটি। শুরুর দিকের মতোই প্রকট আকার ধারণ করছে করোনা মহামারি। এমন পরিস্থিতিতে দেশটির ব্যবসা-বাণিজ্য আবার বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তবে তা সরকারের কোনো নির্দেশে বা বিধিনিষেধের জেরে নয়। কোম্পানিগুলো নিজ উদ্যোগেই ধীরে ধীরে তাদের কার্যক্রম গুটিয়ে নিচ্ছে। শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) সিএনএনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
জানা গেছে, বড় দিনের উৎসব সামনে থাকলেও ওমিক্রন ও করোনাভাইরাসের আক্রান্তের হার রেকর্ড সংখ্যক বাড়ায় সব কিছু এরই মধ্যে অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে। বাতিল হয়ে যাচ্ছে সব ধরনের বুকিং। দেখা দিয়েছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি।
পূর্ব লন্ডনের একটি রেস্তোরাঁর সহ-প্রতিষ্ঠাতা ফেরহাত ডিরিক বলেন, বুকিং বাতিল হওয়ায় ও অনিশ্চয়তার কারণে পরিকল্পনার চেয়ে এক সপ্তাহ আগে বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বর্তমান পরিস্থিতি কর্মী ও আমাদের মনোবলের ওপর প্রভাব ফেলেছে।
ক্রমাগত দোকানপাট বন্ধ হয়ে যাওয়া অর্থনীতির জন্য নতুন হুমকি ও সরকারের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশটিতে করোনায় আক্রান্তের হার বাড়ায় মানুষ বাইরে বের হতে চাইছে না। এদিকে সরকারও সামাজিক কার্যক্রমের ওপর দেওয়া বিধিনিষেধ সরিয়ে নিয়েছে। অন্যদিকে ইংল্যান্ডের চিফ মেডিকেল অফিসার ক্রিস হুইটি জনগণকে প্রয়োজন না হলে অন্যের সঙ্গে মিশতে নিষেধ করেছেন।
গতকাল যুক্তরাজ্যের ভ্রমণকারীদের ওপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে প্রতিবেশী দেশ ফ্রান্স। তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, মহামারি শুরুর পর অর্থাৎ আগের মতোই সম্প্রতি যুক্তরাজ্যে দৈনিক করোনা সংক্রমণের হার সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। বুধবার দেশটিতে ৭৮ হাজারের বেশি করোনা শনাক্ত হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ৭৭টি দেশে ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে। গত ২৫ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথমবারের মতো করোনার নতুন ধরন শনাক্ত হয়। এরপর আফ্রিকান দেশগুলোর ওপর একের পর এক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করে ইউরোপ, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ অসংখ্য দেশ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, করোনার নতুন এই ধরনে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ওমিক্রনে এমন কিছু মিউটেশন বা রূপান্তর ঘটেছে, যার ফলে এর বিরুদ্ধে প্রচলিত টিকাগুলো কার্যকর না-ও হতে পারে। তবে বিধিনিষেধের বিষয়ে পরিস্থিতি বিবেচনায় পদক্ষেপ নিতে দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের স্বাস্থ্য সংস্থাটি।
এমএসএম/এএসএম