রাজনের গ্রামের বাড়িতে ওরস


প্রকাশিত: ০৩:৫৮ পিএম, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬
ফাইল ছবি

সিলেট শহরতলিতে নির্মম নির্যাতনে নিহত শিশু শেখ সামিউল আলম রাজনের বাড়িতে শুরু হয়েছে ওরস। রোববার সন্ধ্যা থেকে সদর উপজেলার বাদিয়ালী গ্রামে এ ওরস শুরু হয়। বাদ ফজর দোয়া মাহফিলের মধ্যদিয়ে তা শেষ হবে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নিহত রাজনের দাদা সৈয়দ শেখ ছাইদ আলী শাহ ছিলেন একজন পীর। তিনি মারা যাওয়ার পর তার বসতভিটায় তাকে সমাহিত করা হয়। নরপশুদের নির্যাতনে প্রাণ হারানোর পর রাজনকে কবর দেয়া হয় তার দাদার কবরের পাশে।

জানা যায়, ছাইদ আলীর মৃত্যুর এক বছর পূর্ণ হলে প্রথমবার কবরের পাশে ওরস মাহফিল আয়োজন করা হয়। আর তখন থেকেই প্রতি বছর ওরস অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। ওরস মাহফিলের আয়োজনের জন্য একটি কমিটিও রয়েছে। সেই কমিটির বর্তমান সভাপতি মন্তাজ আলী। প্রতিবছরই সৈয়দ শেখ ছাইদ আলী শাহের মাজারে এক দিনব্যাপী ওরস মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এবারো এ ওরস মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, সন্ধ্যায় থেকে ওরস শুরু হবে। এবারের ওরসে কোরআন খতম, বাদ এশা থেকে জিকির, মিলাদ, বাদ ফজর দোয়া অনুষ্ঠিত হবে। দোয়া শেষে শিরনি বিতরণের মধ্যদিয়ে ওরস মাহফিল শেষ হবে বলেও জানান মন্তাজ।

তবে গ্রামের বাসিন্দারা জানিয়েছে, প্রতি বছরের চেয়ে এবার বড় আকারে ওরস অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এবারের ওরসে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভক্ত আসবে। এছাড়াও বাউল শিল্পীরা এসে ওরসে গান পরিবেশন করবেন।

বিকেলে নিহত রাজনের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, ওরসের জন্য রাজনের কবর ও তার দাদার কবর আলোকিত করা হয়েছে। কবরস্থানের প্রবেশমুখে নির্মাণ করা হয়েছে তোরণ। কবরস্থানের পাশে ক্ষেতের জমিতে তৈরি করা হচ্ছে মঞ্চ। আর ওরস উপলক্ষে বাসানো হচ্ছে দোকান-পাটও। এছাড়া রাজনের বাড়ির প্রবেশ মুখে ওরসের ব্যানার সাঁটানো রয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ৮ জুলাই শহরতলীর কুমারগাঁওয়ে শিশু সামিউল আলম রাজনকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। রাজন হত্যাকাণ্ডের চার মাস পর ঘোষিত হয় হত্যা মামলার রায়। মামলার রায়ে প্রধান আসামি কামরুলসহ চারজনের ফাঁসি হয়।

ছামির মাহমুদ/এআরএ/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।