সাংবাদিক আফতাব হত্যা মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে


প্রকাশিত: ১১:০৯ এএম, ১২ জানুয়ারি ২০১৭
ফাইল ছবি

একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রবীণ ফটোসাংবাদিক আফতাব আহমেদ (৭৮) হত্যা মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে প্রেরণ করেছে মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ এসএম জিয়াউর রহমানের আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি উপস্থাপনের দিন ধার্য ছিল। এদিন মন্ত্রণালয়ের আদেশে মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ঢাকার ৪নং দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বদলি করা হয়।

ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর সালাউদ্দিন হাওলাদার জাগো নিউজকে বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের আদেশে সাংবাদিক আফতাব হত্যা মামলাটি ঢাকার ৪নং দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বদলি করা হয়েছে।’ এ মামলায় বিভিন্ন সময়ে ২০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২৪ ডিসেম্বর রাতে রাজধানীর পশ্চিম রামপুরা ওয়াপদা রোডে ৬৩ নম্বরের নিজ বাসায় খুন হন ফটোসাংবাদিক আফতাব আহমেদ। পরদিন সকালে তার হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। চার তলার ওই বাড়ির তৃতীয় তলায় আফতাব আহমেদ একাই বসবাস করতেন। মরদেহ উদ্ধারের সময় তার বাসার আলমারিসহ প্রায় সবকটি আসবাবপত্র তছনছ অবস্থায় পাওয়া যায়। লুট করা হয় নগদ টাকা, দুটি বাক্সে ভরা তার কর্মজীবনে ব্যবহৃত সবকটি ক্যামেরা ও দুর্লভ ছবি।

২০১৪ সালের ২৫ মার্চ আফতাব আহমেদের গাড়িচালক মো. হুমায়ুন কবিরসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী অফিসার র‌্যাব-৩ এর উপ-পরিদর্শক আশিক ইকবাল। ২০১৪ সালে ঢাকা তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ইমরুল কায়েস আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

মামলার আসামিরা হলেন- আফতাব আহমেদের গাড়িচালক মো. হুমায়ুন কবির, মো. বিল্লাল হোসেন, হাবিব হাওলাদার, মো. রাজু মুন্সি, মো. সবুজ খান ও মো. রাসেল (পলাতক)।

প্রসঙ্গত, ১৯৬৪ সালে দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকায় আফতাব আহমেদের সাংবাদিকতা শুরু। আলোকচিত্র সাংবাদিকতায় অনন্য অবদানের জন্য ২০০৬ সালে তিনি একুশে পদকে ভূষিত হন।

জেএ/ওআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।