‘অ্যাডভোকেট-ক্লার্ক’ আইন প্রণয়ন করা হবে: আইনমন্ত্রী

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১০:৩২ পিএম, ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

আইনজীবী ও তাদের সহকারীরা হলেন স্বামী-স্ত্রীর মতো মন্তব্য করে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, দীর্ঘদিনের আন্দোলনের পর আইনজীবী সহকারীদের জন্য ‘অ্যাডভোকেট-ক্লাক’ আইন প্রণয়ন হচ্ছে। এ বিষয়ে একটি সর্বজনীন আইনের খসড়া তৈরি করে আগামী ২৮ দিনের মধ্যে জাতীয় সংসদে তোলা হবে।

অন্যদিকে, ‘অ্যাডভোকেট-ক্লার্ক’ আইন পাসে জাতীয় সংসদে সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

আরও পড়ুন>> আইনজীবী সহকারীরা বিচার ব্যবস্থার অপরিহার্য অংশ: স্পিকার

শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ আইনজীবী সহকারী সমিতির পঞ্চম মহাসমাবেশে এ কথা বলেন তারা।

দেশের ৬৪ জেলার ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সহকারী সমিতির সমন্বয়ে এ মহাসমাবেশের আয়োজন করা হয়। সংগঠনটির সভাপতি মো. নুর মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ও উদ্বোধক ছিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। বিশেষ অতিথি ছিলেন রেলমন্ত্রী রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ (এএম) আমিন উদ্দিন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক আবদুন নূর দুলাল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ড. বশির আহমেদ প্রমুখ।

আরও পড়ুন>> বার ও বেঞ্চ একই পরিবারের দুটি সন্তান: আইনমন্ত্রী

আইনজীবী সহকারী সমিতির দাবিগুলোর বিষয়ে অবগত আছেন জানিয়ে স্পিকার বলেন, দাবিগুলোর মধ্যে যা প্রাধান্য পেয়েছে— আইন প্রণয়নের মাধ্যমে পেশার স্বীকৃতি, বিচারকাজকে গতিশীল করার মাধ্যমে বিচারপ্রাপ্তি সহজলভ্য করা, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, জনগণের মৌলিক অধিকার সংরক্ষণ ও সুবিচার নিশ্চিত করা, ৭২-এর সংবিধানের মূললক্ষ্য। এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন আইনজীবী সহকারীরা। তারা জনকল্যাণ ও সুবিচার নিশ্চিতে কাজ করছেন। তাই তাদের স্বীকৃতির জন্য আইনের খসড়া প্রণয়নে আশ্বাস দিয়েছেন আইনমন্ত্রী।

এসময় ভাষার মাসে বঙ্গবন্ধুসহ সব স্বাধীন দেশের নেপথ্যের নায়কদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, বিএনপি সরকারের কারণে আইনজীবী সহকারীদের জন্য আইন প্রণয়ন করা যায়নি। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস অ্যাক্ট, ন্যাশনাল লিগ্যাল এইড অর্গানাইজেশন অ্যাক্টসহ নানা জনবান্ধব আইন প্রণয়ন করছেন।

আরও পড়ুন>> অপব্যবহার হলেও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রয়োজন আছে: আইনমন্ত্রী

‘অ্যাডভোকেট ক্লার্ক’ অ্যাক্ট আইনটি প্রণয়নে কিছু অসুবিধার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আইনজীবী ও তাদের সহকারীরা হলেন স্বামী-স্ত্রীর মতো। তাদের মধ্যে কোনো দ্বন্দ্ব হোক এটা আমি চাই না। আমি চেয়েছিলাম সময় নিয়ে একটি সর্বজনীন আইন করতে হবে। এছাড়া আপনাদের দাবি ‘আইনজীবী সহকারী’ আইন কিন্তু বার কাউন্সিউল আইনে আছে ‘অ্যাডভোকেট-ক্লার্ক’। ফলে আইনটি প্রণয়নে অসুবিধা হয়েছিল। এখন ‘অ্যাডভোকেট-ক্লার্ক’ আইন নামে সবাই রাজি হয়েছেন। তাই কোনো বাধা নেই। আগামী ২৮ দিনের মধ্যে আইনটি চূড়ান্ত করে সংসদে পাঠানো হবে।

অনুষ্ঠানে রেলমন্ত্রী বলেন, আইনজীবী সহকারীদের জন্য আইন প্রণয়নে কোনো দ্বিমত নেই। আইনজীবী সহকারীদের ভারতসহ সবখানে আইনি কাঠামো আছে। এ আইন করা হলে বিচারবিভাগ আরও শক্তিশালী হবে। শেখ হাসিনা সরকারের কাছে কোনো দাবির জন্য আন্দোলন করতে হয় না। প্রধানমন্ত্রী সব জানেন। দ্রুত ‘অ্যাডভোকেট-ক্লার্ক’ আইন পাস হবে।

এফএইচ/এমএএইচ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।