নম্বর জালিয়াতির অভিযোগ

কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রককে হাইকোর্টে তলব

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:৪৪ পিএম, ০৭ জুন ২০২৩

এক শিক্ষার্থীর ফলাফল নিয়ে জালিয়াতির ঘটনায় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রককে তলব করেছেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে আগামী কোরবানির ঈদের পর যে কোনো দিন তাকে উপস্থিত হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখা দিতে বলা হয়েছে।

এ সংক্রান্ত রুলের শুনানি নিয়ে বুধবার (৭ জুন) হাইকোর্টের বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত দ্বৈত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে আজ রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার তাপস কান্তি বল। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট শাহ মনজুরুল হক।

এ বিষয়ে ব্যারিস্টার তাপস কান্তি বল জাগো নিউজকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের একজন পরীক্ষার্থী তার উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য প্রয়োজন ৩.৫ কিন্তু তিনি পেয়েছেন ৩.৪৫। এখন তিনি তার পেপারের পুনর্মূল্যায়ন চান। এছাড়া তার পরের ব্যাচেও কিছু ভুল ধরা পড়েছে মার্কিংয়ের ক্ষেত্রে, পরে এই ভুলগুলোকে সংশোধন করা হয়েছে। কোর্ট আজ বলেছেন যে এক্সাম কন্ট্রোলারকে (পরীক্ষা নিয়ন্ত্রয়ক) আমাদের এখানে আসতে বলেন। ঈদের পর এই রিটের শুনানির জন্য রেখেছেন।

গত ১ আগস্ট জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর ফলাফল পুনর্মূল্যায়নের বিষয়ে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা ও ব্যর্থতা কেন অবৈধ এবং বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

অভিযোগ নিয়ে আইনজীবী শিহাব উদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, নম্বর কম দেওয়া, বাইরের পরীক্ষক দ্বারা মূল্যায়ন ছাড়াই শুধু অভ্যন্তরীণভাবে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার ফল প্রস্তুত করা, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও মাস্টার্স পরীক্ষার জন্য প্রণীত অর্ডিন্যান্সের বিভিন্ন ধারা লঙ্ঘন করে নম্বর জালিয়াতি ও অনিয়ম করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, রিট আবেদনকারী অনার্সে সর্বোচ্চ ৩ দশমিক ৮২ সিজিপিএ পেয়ে প্রথম হলেও মাস্টার্সে তাকে মাত্র ৩ দশমিক ৪৫ দেওয়া হয়। এর ফলে ওই শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে আবেদন করার যোগ্যতা হারান।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও উক্ত পরীক্ষা কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে এই নম্বর জালিয়াতি ও অনিয়মের অভিযোগ করা হয়। এর আগে, ফলাফল ঘোষণার পর মাস্টার্সের ওই শিক্ষার্থী পুনর্মূল্যায়ন চেয়ে অবস্থান কর্মসূচি ও আন্দোলন করাসহ এর প্রতিকার চেয়ে কর্তৃপক্ষ বরাবর আবেদন করেন। কিন্তু এ বিষয়ে কোনো প্রতিকার না পাওয়ার প্রেক্ষিতে এই রিট পিটিশন করা হয়।

চলতি বছরের ২৭ মার্চ প্রকাশিত ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ২০১৮ সালের মাস্টার্স (২০২১ সালে অনুষ্ঠিত) পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা এবং পুনঃপরীক্ষণ বা পুনর্মূল্যায়নপূর্বক পুনরায় ফলাফল প্রস্তুতের ব্যর্থতা কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা হবে না এবং বিবাদীদের কেন ২০১৮ সনের মাস্টার্স পরীক্ষার ফলাফল পুনঃপরীক্ষণ বা পুনর্মূল্যায়নের নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

এফএইচ/কেএসআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।